সিলেট৭১ ডেস্ক:: করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বলে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। তবে সেই গুঞ্জন নাকচ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানালেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চলছিল, সেটি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে চলতি মাসের মধ্যেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব স্কুল শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
রবিবার রাতে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চলমান রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ঘন ঘন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকের পরদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছিল, সেভাবেই চলবে। শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ টিকার আওতায় চলে আসছে এ মাসের মধ্যে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘কেবিনেটের একটি সিদ্ধান্ত আছে, ১৩ তারিখের পর টিকা ছাড়া কেউ স্কুলে যেতে পারবে না। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সবার টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। এর মধ্যে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তারা ক্লাসে আসবে। না নেওয়ারা অনলাইনে বা বিকল্প মাধ্যমে ক্লাস করবে। ক্যানসার বা জটিল রোগের ইতিহাস আছে এমন শিক্ষার্থীদের স্কুলে না এসে অনলাইনে ক্লাসের ওপর জোর দেওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে কোনো নিবন্ধন লাগবে না। পরিচয়পত্র দিয়েই টিকা দিতে পারবে। পরিচয় বলতে স্কুলের পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড লাগবে।’
দীপু মনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। সে কারণে তাদের ক্লাস যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।
বিষয়গুলো ঠিকঠাক কার্যকর হচ্ছে কিনা, সেটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোরভাবে মনিটর করবে বলে জানান তিনি।
এবিএ/১০ জানুয়ারি