সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বুধবার। ভোট গ্রহণের চার দিন পর উপজেলার একটি কেন্দ্রে সিলমোহর করা তিনটি খামে তিন বান্ডিল ব্যালট পেপারের মুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে ব্যালট উদ্ধার করা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসানের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত মুড়িগুলো ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। ইউএনও মুনতাসির হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বেলা পৌনে ২টার দিকে তিনটি খামের ভেতরে থাকা চেয়ারম্যান পদের সিলমারা ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার স্কুলে আসিনি। শনিবার এলেও খামগুলো খেয়াল করিনি। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে খামের ভেতরে ব্যালট পেপারগুলো নজরে আসে। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইউএনও স্যারকে জানাই।’
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ধর্মপাশার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণসহ ১০টি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের মোকাররম হোসেন ৫৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সেলিম রাজা চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ২ হাজার ২০৮ ভোট। ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৯৮২ জন। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ভোটারের সংখ্যা ৮২৭। চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে ৪৮৬, নৌকা ২৬৪ ও ঘোড়া প্রতীকে ৫৯টি ভোট পড়ে। ওই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তপন কান্তি তালুকদার। তিনি বলেন, ‘সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যালটের প্যাকেট করেছি। ভুলে ওই তিন প্যাকেট সেখানে থেকে যেতে পারে।’ সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাছান বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার রেখে চলে এলে বিধি অনুযায়ী যাবতীয় দায় সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’
বিএ/১০ জানুয়ারী