স্বাস্থ্য ডেস্ক:: করোনা বা কোভিড-১৯ একধরনের মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি, এটা আমরা মোটামুটি কমবেশি সবাই জানি। আর করোনা নামক এই প্রাণঘাতী মহামারির বিরুদ্ধে এখনো শতভাগ প্রটেকশন নেওয়ার মতো কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। ৭৫ থেকে ৯৫ ভাগ পর্যন্ত প্রটেকশন দেয় এমন কথা গবেষকগণ এবং উৎপাদক কোম্পানিগুলো বলে থাকেন। অর্থাৎ কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ বা পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়ার পর অতিরিক্ত ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়াকে বুস্টার ডোজ বলা হয়।
বিষেশজ্ঞগণ বলছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ যে কোম্পানির ভ্যাকসিন নেবেন সেই কোম্পানির পরিবর্তে অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। যেমন- আপনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলেন। এরপর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন নেবেন। এতেই কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অনেকে প্রশ্ন করেন কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ বা পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়ার পর পর্যাপ্ত ইমিউনিটি বা অ্যান্টিবডি তৈরি না হলে কি বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে? এমন আশঙ্কা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আগে নেওয়া দুই ডোজ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে শরীরের অ্যান্টিবডি লেবেল বা অ্যান্টিবডি টাইটার পরীক্ষা করতে হবে। এর পর তিনি বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।অনেকেই প্রশ্ন করেন বুস্টার ডোজ নিলে কোভিড আর হবে কি না? মনে রাখতে হবে কোভিড ভাইরাস প্রতিনিয়ত রূপ বদলায় এবং ভ্যাকসিন এ ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যকর থাকে না। যেমন ডেলটার পর এসেছে ওমিক্রন। এদের প্রতিনিয়ত মিউটেশন হচ্ছে অর্থাৎ এরা প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে। তবে বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে বা ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া হলে কোভিড সংক্রামিত হলেও রোগের তীব্রতা ও উপসর্গ কম থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত। অনেকে জানতে চান দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যদি কোভিড পজিটিভ হয় তাহলে বুস্টার ডোজ নিতে হবে কি না।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও যদি কোভিড হয় তাহলে অ্যান্টিবডি আগের চেয়ে বাড়বে। কিন্তু ভ্যাকসিন ভেদে পাঁচ থেকে ছয় মাস পর অবশ্যই কোভিডের বুস্টার ডোজ নিতে হবে। এতে শরীরের অ্যান্টিবডি বাড়বে এবং কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের অবশ্যই কোভিডের বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত।
বিএ/৮ জানুয়ারি