বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:: এক দম্পতির করা একাধিক মামলায় আসামি একই গ্রামের যুবক বৃদ্ধসহ অনেকে। এই পরিবারের একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন- এমন অভিযোগ করে প্রতিবাদ সভা করেছে গ্রামবাসী।গতকাল মঙ্গলবার এসব মিথ্যা মামলার বিপরীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের আবুল কাহার ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ। গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে হামলা, ঘর পোড়ানো, ভাঙচুর, চাঁদাদাবি, হুমকি প্রদানসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কাহার ও ফাতেমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সাতপাড়া গ্রামের প্রবাসী হাজী আব্দুল মোমিন ও আব্দুল ররের উদ্যোগে তাঁদের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতিবাদ সভা করেছেন ভুক্তভোগীরা। সাতপাড়া গ্রামের মসজিদের মোতাত্তয়াল্লী হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও প্রবাসী হাজী আব্দুল মোমিনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হাজী চান্দ আলী, হাজী আব্দুল রুপ, ইরশাদ মিয়া, সংগঠক সেবুল আফসারী।
সভায় বক্তারা বলেন, আব্দুল কাহার ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগম একের পর এক ঘটনা সাজিয়ে সাতপাড়া গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। তাঁদের কোনো মামলারই কোনো ভিত্তি নেই। এমনকি মামলায় সাক্ষীরাও আদালতে সে কথা স্বীকার করছেন। এরপরও থেমে নেই কাহার ও ফাতেমাসহ তাঁর লোকেরা। তাঁরা শান্ত সাতপাড়া গ্রামকে আজ অশান্ত করেছেন। সুষ্ঠু তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে। আর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাতপাড়া গ্রামবাসীকে ‘কাহার-ফাতেমা গংদের’ হয়রানি থেকে রক্ষা করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাতপাড়া গ্রামের আব্দুল রব, কবির মিয়া, ইলাছ আলী, মানিক মিয়া, নেছার আলী, লালা মিয়া, আব্দুল খালিক, জালাল উদ্দিন, মুনাফর আলী, আলী আহমদ, মারুফ আহমদ, আব্দুল বাছিত, আব্দুল ওয়াহিদ, আব্দুল হামিদ, আব্দুর রশীদ, আব্দুস শহীদ, সারোয়ার মিয়া, আব্দুল মতিন, সায়েক আহমদ, তাহেদ মিয়া, আকবর আলী, সেকুল মিয়া, আব্দুশ শহিদ প্রমুখ।তবে ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমরা যে সকল ঘটনায় মামলা করেছি তা শতভাগ সঠিক। আমাদের হয়রানি করার জন্য তাঁরা এই প্রতিবাদ সভা করেছেন।’ মামলাগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘মামলাগুলো তদন্তাধীন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
বিএ/৫ জানুয়ারী