এসবিএন নিউজ: সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, শত বছরের ঐতিহ্যে লালিত সিলেট অঞ্চলের হারানো সংগীত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের এগিয়ে আসতে হবে। এ অঞ্চলের সংগীতজ্ঞদের পদাংক অনুসরণ করে সুষ্ঠ সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। হাছন রাজা, রাধা রমন, বাউল করিমদের সংগীত চর্চায় মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। দেশের বৃহৎ নাগরিকের একাংশ গুণী গীতিকারদের ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভালো মানের গান রচনা ও সুষ্ঠু সংস্কৃতি বিকাশে সরকার সব সময় ছিলো, আছে এবং থাকবে। তিনি এ সংসদের সার্বিক কল্যাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, সিলেটের এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে সংসদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট বিভাগীয় গীতিকার সংসদ এর ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গুণীজন সম্মাননা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট বিভাগীয় সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল মুছব্বির এর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ কালাম এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হাছন রাজা গবেষক ও হাছন রাজা পরিষদের সভাপতি সামারীন দেওয়ান, সাহিত্যক-গবেষক গীতিকার সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, আহমেদ জুলকার নাইন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গীতিকার শাহ নজরুল ইসলাম চিশতী, আফরাজ কবরী, এস.এম শরীয়ত উল্ল্যা, আরশ আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গুণীজন সম্মাননা লাভ করেছেন গীতিকার সিরাজুল ইসলাম, নুরুল আমিন, মাসুক এলাহী চৌধুরী, ইরান মিয়া, আরশ আলী, হাজী আঃ মুছব্বীর, আলাউদ্দিন, ডাঃ মোঃ আমান উল্লাহ ও আফরাজ কবরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম, ডাঃ এস.এম কিবরিয়া, ছদরুল ইসলাম, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় নাটকে মিয়াখ্যাতি অর্জনকারী জয়নাল আবেদীন পলাশ (বুরু মিয়া), শাহেদ মোশারফ (কটাই মিয়া)।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী কালা মিয়া, হাজেরা বেগম তরা, কাসেম সরকার, শাহিনুর সরকার, এম. রহমান, সূর্য্য লাল, আনু সরকার, হুসেন শাহ, বিরহী মুজিব, আবুল কালাম, তারা মিয়া, প্রীতি আক্তার সহ সিলেটের নবীন ও প্রবীণ শিল্পীবৃন্দ।