সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক :: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ৯টি বেহুন্দী জাল, সাতটি চরগেরা ও ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা জালের আনুমানিক মূল্য সাত লাখ টাকা।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হাতিয়ার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে এসব জাল জব্দ করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাতিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান।তিনি বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে সরকার। তার অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হাতিয়ার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৯টি বেহুন্দী জাল, সাতটি চরগেরা ও ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাছ ধ্বংসকারী জাল প্রতিরোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ অনুযায়ী সরকার ২০১৩ সালে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, চরঘেরা জাল, বেড়/জগৎবেড় জাল, কারেন্ট জাল প্রভৃতি ক্ষতিকারক জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং ইলিশ আহরণের জালের ফাঁস ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা ২ দশমিক ৬ ইঞ্চি নির্ধারণ করেছে।
মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন আরও বলেন, মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর এসব জালের ব্যবহার বাড়লে জাটকাসহ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম, রেণু ও পোনা নষ্ট হবে এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি জলজ জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হবে। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত এসব জাল ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাটকা ও সামুদ্রিক মাছের ডিম, লার্ভা ও পোনা রক্ষায় গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চার ধাপে চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত।অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাসসহ উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএ/৪ জানুয়ারি