শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি:: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় গত একবছরে ৭৬ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬৩৩ টি মামলায় ৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ২৬ জনকে।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব কারাদণ্ড ও জরিমানা আদায় করেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. মিনহাজুল ইসলাম।
এর মধ্যে অধিকাংশ মামলা দায়ের হয়েছে সংক্রমণ রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, সড়ক পরিবহন আইন, বঙ্গীয় জুয়া আইন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এসব মামলা দায়ের ও জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানার ফলে যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত এবং যারা আইন সম্পর্কে অবগত নন উভয়ই সতর্ক হবে। ফলে অপরাধ প্রবনতা হ্রাস পাবে। করোনাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা ও কার্যকরীতার ফলে শায়েস্তাগঞ্জে করোনার প্রভাব খুব বেশি পড়েনি। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই সাধুবাদ জানাই। মামলার তুলনায় জরিমানা আদায়ের পরিমান সম্পর্কে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মানবিক দিকটিই ফুটে উঠেছে। আমার মনে হয় সীমিত জরিমানার মধ্যদিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে সাধারণ নাগরিকরা আরও বেশি উপকৃত হবে।
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, জেল-জরিমানা কোন মোবাইল কোর্টেরই উদ্দেশ্য নয়। জনসচেতনতা তৈরী করাই মুল উদ্দেশ্য। জনসচেতনতার লক্ষে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যার ফলে করোনাকালীন সময়ে শায়েস্তাগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেছেন। এছাড়াও আমাদের ভেজাল বিরোধী অভিযানের ফলে শতভাগ না হলেও অধিকাংশ অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ড কমে এসেছে। পরিবেশ রক্ষা, মানুষের স্বাস্থগত সুরক্ষা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এ সকল বিষয় নিয়ে আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ গুলা করেছি এবং আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এবিএ/ ০১ জানুয়ারি