হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:: বছরের প্রথমদিন সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার কথা থাকলেও হবিগঞ্জে এবার তা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে যেমন ‘বই উৎসব’ হচ্ছে না, তেমনি বইও পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। জেলায় এখন পর্যন্ত প্রাথমিকের নতুন বই পৌঁছায়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, হবিগঞ্জ জেলার ৮ উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫৮ হাজার ৮টি। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি বইও শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছায়নি। যে কারণে প্রাক-প্রাথমিকের কোন শিক্ষার্থীই বছরের প্রথম দিনে বই পাচ্ছে না।
অন্যদিকে, বাংলা ভার্সনের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই পাবেন শুধুমাত্র সদর ও বানিয়াচং উপজেলার শিক্ষার্থীরা এর মধ্যে সদর উপজেলায় প্রথম শ্রেণির ৯৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, দ্বিতীয় শ্রেণির ৯৫ শতাংশ এবং বানিয়াচং উপজেলায় প্রথম শ্রেণির ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ বই জেলায় পৌঁছেছে।
নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একটি বইও এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি। উপজেলাগুলোতে চাহিদা রয়েছে- নবীগঞ্জে ৬৬ হাজার ৬৬০টি এবং আজমিরীগঞ্জে ২৬ হাজার ৪০০টি বই।
এছাড়া লাখাইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই পৌঁছেছে মাত্র ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ, মাধবপুরে প্রথম শ্রেণির ২ দশমিক ৮৪ ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২ দশমিক ৯২ শতাংশ, চুনারুঘাটে প্রথম শ্রেণির ৩ দশমিক ০৭ ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাহুবল উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পৌঁছেছে শুধুমাত্র বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলায়। সদর, নবীগঞ্জ, লাখাই ও বাহুবল উপজেলায় এই দুই শ্রেণির একটি বইও পৌঁছায়নি। তবে প্রাথমিক স্তরের ইংরেজি ভার্সনের শতভাগ বই পৌঁছেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বই পাওয়ার বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি। ডেলিভারি সমস্যার কারণে এখনও বই পৌঁছায়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বইগুলো পৌঁছে যাবে।
এবিএ/ ০১ জানুয়ারি