সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের মাঝে আটকা পড়েছে কর্ণফুলী নামক একটি জাহাজ। জাহাজটিতে ৪০০ জনের মতো যাত্রী রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করে ট্যুর অপারেটর সদস্য কাজল আহমদ বলেছেন, সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার সময় জাহাজের ইঞ্জিল বন্ধ হয়ে যায়। তখন জাহাজের নাবিক আমাদের বার্তা পাঠান তারা সমুদ্রের মাঝে আটকে গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে দেই।
জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। এটি উদ্ধারের জন্য একটি টিম পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের জন্য খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।
জাহাজে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) এ জাহাজটি একইভাবে মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়েছিল। এ ঘটনায় পর্যটকরা অভিযোগ জানালেও এর কোনো সুরহা হয়নি। ফের একদিন পর আবার একই ঘটনা ঘটল।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের উপকূলের কাছ থেকে আমরা অনেক দূরে আছি। আমরা কর্তৃপক্ষকে বারবার বললেও তারা আমাদের দ্রুত সাহায্যের নামে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন। আমরা এখনো কোনো সাহায্য পাইনি।
ট্যুর অপারেটরের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাহাজটি সোনাদিয়া মহেশখালি চ্যানেলের কাছাকাছি রয়েছে। এটি ইঞ্জিন বিকলের জন্য নয়, সমুদ্রের চরে আটকা পড়েছে।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে জড়িত সবার উচিত পর্যটকদের জীবনমান নিশ্চিতের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কক্সবাজার এমন জায়গা যেখানে দেশ-বিদেশের সব স্তরের মানুষের নজর রয়েছে। এর সুনাম ধরে রাখা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার নৈতিক দায়িত্ব। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রোডে কয়েকটা জাহাজ রয়েছে যা সমুদ্রে চলাচলের উপযুক্ত নয়, নদীর জাহাজ সমুদ্র অতিক্রম করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনও এই দায় এড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, রাত ২টা বেজে গেলেও শুনা যাচ্ছে মাঝ সমুদ্রে আটকে রয়েছে একটি জাহাজ। প্রায় চার শতাধিক পর্যটক সমুদ্রে কান্নাকাটি করছে, এই দায় কে বহন করবে। কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে যেন একের পর এক চক্রান্ত চলছে।
কক্সবাজার সেন্টমার্টিনে যতো জাহাজ চলাচল করছে সেগুলোর ফিটনেস ও সমুদ্রে চলাচলে উপযুক্ত কিনা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আইআর/৩০ ডিসেম্বর