স্টাফ রিপোর্ট:: আগামীকাল থেকেই করোনার সিলেট নগরে করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান তিনি।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে তারা বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন। প্রথমদিন পরীক্ষামূলকভাবে ১০০ জনকে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের পরামর্শ অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১০০ জনকে এ টিকা দেয়া হবে। যদিও এই সিদ্ধান্ত আজ বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে নেয়া হবে।
কারা পাচ্ছেন এই টিকা? এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত ৬ হাজার জনের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে ষাটোর্ধ নাগরিক ও ফ্রন্টলাইনাররা। তাদের মধ্য থেকে প্রথম ১০০ জনকে আজ সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএমএস পাঠানো হবে। যাদের এসএসএম পাঠানো হবে তারাই আগামীকাল টিকা নিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে এই তালিকায় থাকা সকলকেই এসএমএস পাঠানো হবে ও তারিখ অনুযায়ী টিকা প্রদান করা হবে।
বুস্টার ডোজ হিসেবে কোন টিকা দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ হিসেবে আমাদের মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে তিনটি টিকার কথা। সেগুলো হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। যারা তৃতীয় ডোজের জন্য মনোনীত হবেন তাদের ওই তিন টিকার মধ্যে যে কোনো একটি দেয়া হবে। এক্ষেত্রে টিকাগ্রহীতার টিকা বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে বর্তমানে আমাদের কাছে ফাইজারের টিকার পর্যাপ্ত স্টক থাকায় আমরা ফাইজারের টিকাই দেবো।
তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে প্রতিদিন রুটিন টিকার সাথে বুস্টার ডোজ প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রুটিন টিকায় প্রতি ৫ জনের সাথে একজনকে বুস্টার ডোজ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে রুটিন টিকার চাপ যদি কম থাকে সেক্ষেত্রে প্রতিদিন বুস্টার ডোজ টিকা প্রদানের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
বুস্টার ডোজের টিকা কোন কেন্দ্রে দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে সিলেট নগরীতে একটাই কেন্দ্র। যেটি হচ্ছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আপাতত সেখানেই আমরা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে গত ১৯ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এদিন ৫৪ জন কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীসহ সারাদেশের বেশ কিছু হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও করোনাকালে যারা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করেছেন, তাদের করোনার টিকার বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল থেকে সিলেটে ১০০ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
এবিএ/২৯ ডিসেম্বর