সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক :: গোটা বিশ্ব জুড়েই এখন ভয় দেখাচ্ছে করোনার ওমিক্রন রূপ। কীভাবে এই ওমিক্রন সামলানো যায়, কীভাবে এর সংক্রমণ আটকানো যায়— তা নিয়ে ইতিমধ্যেই হিমসিম খাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারই মধ্যে ইউরোপ এবং আমেরিকায় উদয় হয়েছে করোনার আর এক ভ্যারিয়েন্ট। নাম ডেলমিক্রন। এই দুই মহাদেশে নতুন রূপটির কারণে অতিমারির তাণ্ডব চলতে পারে। এমনই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। কিন্তু কী এই ডেলমিক্রন?
নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সমষ্টি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আল্ফা বা বিটার মতো আলাদা কোনও রূপ নয়। কোভিডের দুই রূপ ডেল্টা এবং ওমিক্রন— একসঙ্গে ভয়াবহ ভাবে ছড়াচ্ছে। তাই যুগ্মভাবে এই নামকরণ।২০২১ সালে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি ডেল্টা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। প্রচুর আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ব্রেন ফগ, পেশির ব্যথা, চুল উঠে যাওয়া, গন্ধ-স্বাদ চলে যাওয়ার মতো অন্য উপসর্গগুলো তো দীর্ঘ দিনই ধরেই কাবু করে রেখেছিল ডেল্টায় আক্রান্তদের।
এর পরে এল ওমিক্রন। এর সংক্রমণের হার অনেক বেশি হলেও উপসর্গ তুলনায় কম। স্বাদ-গন্ধ এর কারণে চলে যায় না। মাথাব্যথা, গলা চুলকানো, ক্লান্তি এর প্রধান উপসর্গ। যদিও এটি কত দূর মারাত্মক হতে পারে, তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
কী এই নতুন ডেলমিক্রন (What is Delmicron):
ইউরোপ এবং আমেরিকায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সংক্রমণ। বিজ্ঞানীরা একেই বলছেন ডেলমিক্রন। একদিকে ডেল্টা মারাত্মক উপসর্গ, তার সঙ্গে ওমিক্রনের মৃদু উপসর্গ— দুটোর প্রভাবই রয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে। পাশাপাশি ডেল্টার মতো ধীরে ছড়াচ্ছে না এই সংক্রমণ। বরং এর সংক্রমণের হার ওমিক্রনের মতো।
কোন কোন উপসর্গ রয়েছে এক্ষেত্রে:
তীব্র জ্বর
টানা কাশি
স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া বা কমে যাওয়া
মাথাব্যথা
সর্দি
গলা খুসখুস
বাংলাদেশে এই ডেলমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে কি না, বা আদৌ ছড়ানোর আশঙ্কা আছে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। যেমন অনেকেরই মত, ডেল্টা যেভাবে ভারতে ভায়বহ আকার ধারণ করেছিল, ওমিক্রন ততটাও করবে না। ফলে ডেলমিক্রনও ভয়াবহ হবে না। তবে বিজ্ঞানীরা অতটাও আশাবাদী হতে বারণ করছেন। তাঁদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এখন নিরাপদে থাকার একমাত্র রাস্তা। মাসখানেক গেলে ছবি আরও পরিষ্কার হবে বলে মত
বিএ/২৫ ডিসেম্বর