সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ইসলামি রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘মজলিসে আমেলার’ বৈঠক বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে দলটির জাতীয় কাউন্সিল। জানা যায়, শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের প্রশ্নে শায়খুল হাদিস আল্লামা শিব্বির আহমদ উসমানীর নেতৃত্বে ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম’ ও শায়খুল ইসলাম সৈয়দ হোসাইন আহমদ মাদানীর নেতৃত্বে ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশ হওয়ার পর ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম’ হয়ে যায় ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’। এরপর অনেক উত্থান-পতন হয়েছে জমিয়তে। আজকের জমিয়তের মজলিসে আমেলার বৈঠক এবং আগামীকালের কাউন্সিল মূলদ্বারা জমিয়তের। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে দলটির মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমীর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। এ বছর মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে তিনি গ্রেফতার হন। এরপর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন বাহাউদ্দীন জাকারিয়া। মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া দায়িত্ব পালনকালে গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় জমিয়ত।
দলীয় সূত্রমতে, জমিয়তের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ির মৃত্যুর পর ‘আঙ্গুরার নাযিম সাহেব’ নামে খ্যাত, আজাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দীনকে যখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়, তখন জমিয়তের অনেকেই মনে করেছিলেন এবার কিছু একটা হবে! তিনি রাজধানীমুখী হবেন। কিন্তু রাজধানী তো দূরের কথা জেলা শহর সিলেটেও তেমন আসেন না তিনি। তিনি বসবাস করেন সিলেট শহর থেকে বেশ দূরে বিয়ানীবাজারের আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরে।
কেউ কেউ আবার মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীকে জমিয়তের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দেখছেন।মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী সরাসরি খেলাফত মজলিসের মহাসচিব পদ থেকে এসে জমিয়তের নেতা হয়েছেন। সে কারণে জমিয়তের বড় অংশটি চায় আব্দুর রব ইউসুফী নন, শায়খুল হাদিস মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারূক দলটির পরবর্তী সভাপতি হন। কেননা তিনি পারিবারিকভাবে খান্দানী এবং রাজধানীতে অবস্থানকারী। দলীয় সূত্রমতে, মহাসচিব হিসেবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীই এগিয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া দলের তরুণ অংশটি তাঁকে বা সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরীকেও মহাসচিব হিসেবে দেখতে চায়।
আইআর/২২ ডিসেম্বর