সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন। এ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় পিন্টু হোসেন নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার দীঘাবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পিন্টু দীঘা দাবিয়াতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক। একই দলের বহিষ্কৃত উপজেলা আ.লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
গত ৪ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য নৌকার প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা আ.লীগের নেতারা তার বাড়িতে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের সঙ্গে কথা না বলে কৌশলে স্থানীয় মসজিদের মাইকে প্রচার করেন যে, নুর মোহাম্মদ তুফানের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয়রা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মোরটসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিকের পক্ষে উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবীর বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও দেড় শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানসহ ৫ ডিসেম্বর চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আক্তারী পলি বলেন, ৪ ডিসেম্বর রাতে নৌকার প্রার্থীর ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার নিয়ে ৬০-৭০ জন দেশীয় অস্ত্রসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে হামলা চালায়। এ সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। বাড়ির গেট খুলে না দেওয়ায় ভাঙার চেষ্টা চালায়। রাতে স্থানীয়রা বুঝতে পেরে মাইকে প্রচার করেন যে, সরকারদলীয় লোকজন হামলা করেছে। এ সময় কিছু মানুষ এসে দুই-একজনকে মারধর করে। আমার স্বামী থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে। আমার স্বামীও আটজনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু উল্টো আমার সমর্থকদের আটক করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ৭ ডিসেম্বর সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন আমার বাড়িতে বোমা হামলা করে।
এদিকে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমরা একই দলের রাজনীতি করি। সমঝোতার আশায় ৪ ডিসেম্বর রাতে কয়েকজন নেতা তার বাড়িতে যায়। এ সময় হঠাৎ মাইকে প্রচার করা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী তুফানের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে। নেতারা হতভম্ব হয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলাকার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে ২০ জন আহত ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আক্রমণ থেকে কোনোমতে উপজেলার নেতারা প্রাণে বেঁচে যান।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নৌকার দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে একই দলের আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। স্থানীয় নেতারা তাদের মধ্যে সমঝোতা করতে গিয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ মামলার আসামি পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আইআর/২১ ডিসেম্বর