সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: বরগুনার আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খানের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতালি প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক শোভন শাহরিয়ার মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বুধবার আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৭৩) প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খান কলাপাড়া পৌর শহরের মাদরাসা সড়কে তার মা-বাবার সাথে বসবাস করেন। তার স্বামী রত্তন পাহলান একই পৌরসভার চিংগুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সালের প্রথম দিকে ইতালি থেকে ফিরে এসে শিক্ষিকা সানজিদাকে বিয়ে করে আবার ওই বছরের শেষের দিকে পুনরায় ইতালি ফিরে যান। স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে ইতালি থেকে প্রতি মাসে (নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত) ৮ বছর রেমিট্যান্সের মাধ্যমে স্ত্রী এবং শ্বশুরের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা পাঠায় স্বামী রত্তন পাহলান। যা তার স্ত্রী ও শ্বশুর রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত এবং বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেন।
চলতি বছরের ২২শে অক্টোবর স্বামী রত্তন পাহলান ইতালি থেকে দেশে ফিরে আসার পর প্রবাসী স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অমনোযোগী থাকার বিষয়টি স্বামী গোচরীভূত হয়। এরপর টাকার হিসেব চাইতে গেলে স্ত্রী হিসাব না দিয়ে নানাবিধ তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর পাঠানো সমুদয় টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে গত বুধবার ইতালি প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী, শ্বশুর ও শ্বাশুরীকে আসামী করে তার পাঠানো ১ কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহপূর্বক অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতালী প্রবাসী স্বামী রত্তন পাহলান বলেন, স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সরল বিশ্বাসে নভেম্বর ২০১১ সাল হতে ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ইতালি থেকে স্ত্রীর এবং শ্বশুরের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারে আনুমানিক ১ (এক কোটি) টাকা পাঠাই। যা তার স্ত্রী ও শ্বশুর রেমিট্যান্স সুবিধা সম্বলিত রাষ্ট্রায়াত্ত এবং বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তা আত্মসাত করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী সানজিদা খানের সঙ্গে একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
বিএ/২১ডিসেম্বর