সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক::রাজশাহীর বাগমারায় বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে করা মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাতকারী তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার মো. আব্দুর রাজ্জাককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি সভা করে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ওই পত্রে তাকে দল থেকেও স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ১২টা ১ মিনিটে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারবর্গ, শহীদ জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আবদুর রাজ্জাক। মোনাজাত পরিচালনাকালে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য একটি বাক্য উচ্চরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরি সভা করে নির্বাহী কমিটি।
সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে খন্দকার আবদুর রাজ্জাককে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাগমারা উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের জান্নাত চেয়ে মোনাজাতের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সেই মোনাজাতে সবাইকে আমিন বলতেও শোনা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ১৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোনাজাতে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাবুদ জাতির জনক এবং তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছেন, আল্লাহ তাদের সবাইকে জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ। ’
এ সময় বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ উপস্থিত সবাইকে আমিন বলতে শোনা যায়।
তবে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের দাবি, মোনাজাত করতে গিয়ে ভুলবশত এটি হয়েছে। পরে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়েছিল।