সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে নিজ বাড়ির কবরস্থান থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রয়াত শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের উপস্থিতিতে তার মরদেহ তোলা হয়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এসময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস, কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান তালুকদারসহ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত জানান, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সুরতহাল শেষে পরে মরদেহ আবার দাফন করা হবে।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন (৩৮)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) পদে নিজের লোককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান। ঘটনার দিন দাপ্তরিক কক্ষে সাদমান নাহিয়ান ও তার অনুগতদের অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন ড. সেলিম।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাদমান নাহিয়ান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রায় আধঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন দুপুরে খাবারের জন্য বাসায় যান। দুপুর ২টার দিকে স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের নামে জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
আইআর/১৫ ডিসেম্বর