সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মুক্তারপুর ও মামুদনগর গ্রামের মধ্যবর্তী ধানকুনিয়া হাওরের একটি ফসলরক্ষা বাঁধে অ্যাক্সেভেটর দিয়ে মাটি ফেলে বাঁধ পুনঃনির্মাণ ও মেরামত কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কাজের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভাপতি ইউএনও মো.মুনতাসির হাসান। এ সময় অন্যদের মধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমুন হাসান বিপ্লব, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমরান হোসেন ,উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাদিম কবীর, ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ( পিআইসি) কমিটির সভাপতি একতার হোসেন, সদস্য সচিব মো.আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল, সোনামড়ল, ধানকুনিয়া, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, ঘোড়াডোবা, রুই বিল, কাইলানী, জয়ধনা এই নয়টি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রয়েছে।।
এই নয়টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের দৈর্ঘ ২১৫কিলোমিটার। এবার সম্ভাব্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির( পিআইসি) সংখ্যা ১৩০টি। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ১০টি পিআইসি গঠন করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের জরিপ, প্রাক্কলন তৈরি, গণশুনানি, পিআইসি গঠন, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ ও প্রাক্কলন তৈরিসহ অন্যান্য যাবতীয় কাজ গত ৩০নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। আর ১৫ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু করে আগামি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমরান হোসেন বলেন, হাওর থেকে দেরিতে পানি নামায় বাঁধের জরিপ, পিআইসি গঠন, প্রাক্কলন তৈরিসহ অন্যান্য যাবতীয় কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। তবে আমরা নীতিমালা মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করেছি। পিআইসি গঠনের কাজ ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এবং কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভাপতি মো.মুনতাসির হাসান বলেন, হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় বাঁধ পুনঃনির্মাণ ও মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এখানকার নয়টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
আইআর/১৫ ডিসেম্বর