জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:: আসন্ন ইউপি নির্বাচন। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়ায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী জনপদ। নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারতে পারে, কোন প্রার্থীকে কোন গোষ্টি সমর্থন করছে, কিংবা করবে। প্রার্থীদের আচার-আচারণ, ব্যবহার, স্বভাব, চরিত্র কেমন এসব নানা নির্বাচনী বিষয় নিয়ে জগন্নাথপুরের ফলনের মাঠ থেকে চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আলোচনা নেমে নেই গ্রাম-গঞ্জে, হাটবাজারে। গ্রামের পর গ্রাম চলছে নির্বাচনের আলাপ আলোচনা। এই আলোচনা ছড়িয়েছে জগন্নাথপুরের সর্বত্রজুড়ে। রানীগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকানদার শারুক আলী জানান, নির্বাচনী গরমে চা বিক্রি বেড়েছে। লোকজন চা খাওয়ার পাশাপাশি পান, সিগারেটও খাচ্ছেন। আর নির্বাচনের খবরাখবরের আলাপ আলোচনা মেতে উঠছেন।
নলুয়া হাওরেরপাড়ের ভুরাখালি গ্রামের চা বিক্রেতা হেলাল মিয়া বলেন, নির্বাচনের আগে দোকান খুলতাম ৮টায়। এখন দোকান খুলি ভোরে। কারণ এখন নির্বাচনের সময়। লোকজন সকাল সকাল এসে চা পান করে নির্বাচনী আলোচনায় ঝড় তুলেন। আগের তুলনায় এখন চা বিক্রি বেশি হচ্ছে।
জগন্নাথপুর পৌরশহরের পশ্চিম বাজারের চায়ের দোকান রতিন্দ্র জানান, জগন্নাথপুর সদরে কোন নির্বাচন না থাকলেও সদরে আসা জগন্নাথপুরের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন চা খেতে এসে নির্বাচনী আলাপে ব্যস্ত হচ্ছেন। এজন্য চায়ের কদর বেড়েছে।
নলুয়া হাওরপাড়ের কৃষক নেতা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জের কেন্দ্রেীয় কমিটি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসন্ন নির্বাচন কে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। হাওরের ফসলের মাঠে এখন বোরো ধানের বীজ রোপন কাজে কৃষকরা ব্যস্ত থাকলেও কাজের ফাঁকে ফাঁকে ইনেকশন নিয়ে আলোচনায় জমে উঠছেন তাঁরা। গ্রামীন হাটবাজারে চায়ের টেবিলে নির্বাচনী আলোচনায় ঝড় উঠেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর জগন্নাথপুরের কলকলিয়া, পাটলী, চিলাউড়া-হলদিপুর, রানীগঞ্জ, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, আশারকান্দি ও পাইলগাঁও ইউনিয়ন এই সাতটি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নে ২৬ জন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত পদে ৮৯ নারী এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরইমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁরা প্রতীক পাওয়ার পরপর প্রচার প্রচারনায় মাঠে কাজ শুরু করেছেন। নির্বাচনী এলাকাগুলিতে ভোটের আমেজ বিরাজ করছে।
এবিএ/১৪ ডিসেম্বর