খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে (সদর) বিদেশগামীদের করোনা নমুনা পরীক্ষার দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। প্রকাশ দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে ১৫দিনের জামিন নিয়েছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি বাবদ মোট চার কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এ অর্থের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে মাত্র এক কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। ল্যাব টেকনোলজিস্ট ও ল্যাব ইনচার্জ প্রকাশ কুমার দাস বাকি দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা দেননি। ওই টাকা কেন সরকারি কোষাগারে জমা দেননি তার জবাব দেওয়ার জন্য চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর কৈফিয়ত তলব করা হয়। কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে প্রকাশ কুমার দাস আত্মগোপন করেন।
এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারি পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে প্রকাশ কুমার ১৫ দিনের জামিন নিয়ে খুলনায় আসেন। জামিন শেষে আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এবিএ/১২ ডিসেম্বর