সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: পুরাণে বর্ণিত হয়েছে, মাছ (Fish) হল বিষ্ণুর অবতার। এবার সেই মাছকে নিয়েই তুঙ্গ চর্চা। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে এক বিশেষ মাছের ছবিতে। কী সেই মাছ? কেন-ই বা সেই মাছকে ঘিরে এত চাঞ্চল্য ছড়াল?
উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বুলন্দশহর জেলার অ্যাকোরিয়ামের মধ্যে বেড়ে উঠেছিল কালো হলুদ অস্কার প্রজাতির মাছটি। তার গায়ে একদিকে নাকি ‘আল্লা’ তো অন্যদিকে ‘মহম্মদ’ লেখা। সেই মাছকে ঘিরেই এখন জোর চর্চা।
জানা গিয়েছে, ১০ বছর ধরে মাছ লালন-পালন করতেন কোতওয়ালি শহরের বাসিন্দা অঙ্কুশ সিংঘর। বছর তিনেক আগে অস্কার প্রজাতির মাছটি কিনে এনেছিলেন। অ্যাকোরিয়ামে অন্যান্য মাছের সঙ্গে বেড়ে উঠেছিল সে। একটু বড় হতেই বিপত্তি। মাছের শরীরে ফুটে ওঠে কয়েকটি অক্ষর। তাও আবার উর্দুতে। এমনটাই দাবি অঙ্কুশের। মাছের গায়ে উর্দুতে কী লেখা ফুটে উঠছে, তা অবশ্য তিনি বুঝতে পারেননি।
অঙ্কুশের দাবি, “আমি উর্দু পড়তে জানি না। তাই আমার এক মুসলিম কারিগরকে ডেকে এনেছিলাম মাছ দেখাতে। সে-ই আমাকে জানায় মাছের গায়ে আল্লা ও মহম্মদ লেখা রয়েছে।” এর পর সত্যতা যাচাই করতে আরও ২৩ জন উর্দু জানা ব্যক্তিকে ডেকে এনেছিলেন তিনি। তাঁরাও একই কথা জানান।
এখন সেই ‘পবিত্র’ মাছের দাম উঠেছে ৫ লক্ষ টাকা। অস্কার প্রজাতির ‘মৎস্য অবতার’কে দেখতে রোজ ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। কিনতেও চাইছেন অনেকে। কিন্তু মাছটি বিক্রি করতে নারাজ অঙ্কুশ। তাঁর দাবি, “বাড়িতে যখন আল্লা এসেছেন, পয়সা দিয়ে তা বিক্রি করব না।
তবে এই প্রথম নয়, ২০১৫ সালে উত্তরাখণ্ডেও ঘটেছিল একইরকম ঘটনা। সেখানেও অ্যাকোরিয়ামে পালিত দু’টি টাইগার অস্কার মাছের গায়ে ফুটে উঠেছিল ঈশ্বরের দুই নাম। পরে অবশ্য দু’টি মাছেরই মৃত্যু হয়। কিন্তু একই প্রজাতির মাছের গায়ে কেন এ ধরনের লেখা দেখা যাচ্ছে, তা এখনও রহস্য।
এবিএ/১২ ডিসেম্বর