এসবিএন: সিলেটে ভিকটিমসহ আদালতে আত্মসমর্পন করতে এসে অপহৃত হয়েছেন এক আসামী।
রোববার ১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে সিলেট জেলা বারের ২নং হলের সামন থেকে তাকে অপহরন করা হয়। এব্যাপরে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং এ ঘটনায় সিলেটে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সিলেট জেলা বারের আইনজীবি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও এভভোকেট মো. নেছার উদ্দিন জানান, সিলেটের জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও সুজাতপুরের মতিউর রহমান মতির পুত্র আব্বাস আলীর (২৩) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কলেজছাত্রী তাহমিনা আক্তার লিজা হেপী’র (২০)।
তাহমিনা সিলেট এমসি কলেজে অধ্যয়নরত এবং সিলেটের বিশ্বনাথ থানার বাওনপুরের আলতাব মিয়ার মেয়ে। তাহমিনা গত ২৮ জানুয়ারী প্রেমিক আব্বাসের হাত ধরে পালিয়ে যায় এবং নোটারী পাবলিক ও রেজিষ্ট্রি নিকাহনামা করে আব্বাসকে বিয়ে করে।
এ ঘটনায় তাহমিনার পিতা আলতাব মিয়া গত ১লা ফেব্রুয়ারী সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা করেন।
মামলায় আব্বাস আলীসহ ৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করা হয়। মামলার সংবাদ পেয়ে তাহমিনা ও তার প্রেমিক আব্বাস রোববার আদালতে আত্মসমর্পন করতে আসে।
খবর পেয়ে তাহমিনার পিতা ও ভাইসহ বাদীপক্ষও আদালত পাড়ায় আসে। সকাল আনুমানিক ১১টায় আব্বাস ও তাহমিনা তাদের আইনজীবির সাথে দেখা করে আদালতে আত্মসমর্পনের প্রস্তুতি নেয়।
এ সময় মামলার বাদী আলতাব মিয়া ও তার স্বজনরা সিলেট জেলাবারের ২নং হলের সামন থেকে প্রেমিক আববাস আলীকে প্রকাশ্যে অপহরন করে একটি গাড়িতে তুলে দ্রুত চম্পট দেয়।
আদালতের আইনজীবিদের সামন থেকে আত্মসমর্পনকারী আসামীকে অপহরন ঘটনায় আদালত পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়।
ঘটনাটি সিলেট জেলা বারের সভাপতি সেক্রেটারীসহ সকল মহলকে তাৎক্ষনিক অবহিত করা হয়েছে এবং তাহমিনা তার স্বামীকে অপহরন করে নেয়া হয়েছে মর্মে আদালতকেও লিখিতভাবে অবহিত করেছে।
পরে আদালত ভিকটিম তাহমিনার ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহনের জন্য আদেশ দেন। বেলা পৌনে ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য তাহমিনাকে পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ২ আদালতে তাহমিনার জবানবন্দী গ্রহনের কথা।