সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ডা. মুরাদ হাসান। এরপর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সর্বশেষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ডা. মুরাদকে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের আর কোনো পদে রইলেন না মুরাদ হাসান। এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক পদ ও পরদিন সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে। আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বিতর্কিত মন্তব্য ও অশালীন বক্তব্য দিয়ে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন মুরাদ হাসান। তাই দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৯) ধারা মোতাবেক তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে অব্যাহতি পত্র প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি ডা. মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এর পরই প্রতিমন্ত্রী মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান ডা. মুরাদ হাসান।
বিএ/১০ ডিসেম্বর