সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: আদালতে অর্থপাচারকারীদের ৪৩ জনের তালিকায় দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা আরও বড় হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে দুদকের মহাপরিচালক ও পরিচালক, বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনুসন্ধান ও তদন্তে যে দীর্ঘসূত্রিতা আছে, ওইটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই পরিকল্পনা করা। আমরা বাস্তবভাবে পরিকল্পনা করছি, দুর্নীতি নিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা এর কাছাকাছি যাওয়া।’
দুদক অর্থপাচারকারীদের যে তালিকা উচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অর্থ পাচারের বিষয়টা মানি লন্ডারিং আইনের মধ্যে আছে। আইনের ২৮টি ধারা আছে, শুধুমাত্র একটি ধারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ পাচার হয় সেই অংশটা আমরা দেখতে পারি। ওইটা দেখার জন্য আমাদের তদন্ত-অনুসন্ধানের জন্য নির্ভরশীল থাকতে হয় বিভিন্ন সংস্থার ওপরে। তারা যদি সময়মত ও যথাযথভাবে চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র সরবরাহ করে তবেই আমরা দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে পারি।
অন্যদিকে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘অর্থ ফেরত আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অনেক দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে। আদালতের রায়ের মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনা হবে।’
দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক, ‘অর্থ পাচারের আভিযোগ অনুসন্ধানে আইনি জটিলতায় দুদক। ২৮টি ধারার ২৭টি দুদকের কাছে নেই। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। দুদক আদালতে যে ৪৩ জনের তালিকায় দিছে, সেই তালিকায় দুদকের আইনি যা করার সুযোগ আছে করা হবে। তালিকা আরও বড় হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর অর্থ পাচারকারী ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা আদালতে জমা দেন, এর মধ্যে ১৪টি নাম এসেছিল ‘পানামা পেপার্সে’। আর ‘প্যারাডাইস পেপার্সে’ এসেছিল ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের পাশাপাশি বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের নাম রয়েছে।
এবিএ/৯ ডিসেম্বর