সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: পারিবারিক সম্মান রক্ষায় ভারতের মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ জেলায় এক কিশোর তার মায়ের সহায়তায় ১৯ বছর বয়সী বোনের শিরশ্ছেদ করে রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই কাটা মাথা প্রতিবেশীদের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই কাটা মাথার সাথে ওই কিশোর ও তার মা সেলফি তুলেছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ আওরঙ্গবাদ জেলার ভাইজাপুর এলাকার চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে সোমবার জানানো হয়েছে।
মা এবং ভাইয়ের হাতে ওই তরুণী হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন। প্রতিবেশীরা বলেছেন, ওই তরুণীর স্বামীকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল কিশোর। তবে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, গর্ভবতী বোনকে হত্যার পর তার কাটা মাথা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখে কিশোর। আত্মসমর্পণের আগে বোনের সেই কাটা মাথা শূন্যে দোলাতেও থাকে সে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার তরুণীর নাম কীর্তি থোর। গত জুনে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এরপর থেকে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে তার মা যোগাযোগ করেন। এ সময় ওই তরুণী স্বামীর বাসায় মাকে আসতে বলেন। গত রোববার ছেলেকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যান তিনি।
রোববার যখন তারা বাড়িতে পৌঁছান, তখন কীর্তির স্বামী অন্য এক কক্ষে ছিলেন। মা এবং ভাইয়ের জন্য চা বানানোর সময় পেছন দিক থেকে আক্রান্ত হন কীর্তি থোর। ওই সময় তার মা পা দিয়ে জড়িয়ে ধরেন এবং তার ভাই কাস্তে দিয়ে কীর্তির মাথা কেটে ফেলে।
প্রতিবেশীদের দেখানোর জন্য কাটা মাথা নিয়ে বাড়ির বাইরে যায় ওই কিশোর। পরে সেখান থেকে বীরগাঁও পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত কিশোর। বর্তমানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের ভাইজাপুর এলাকার জেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা কৈলাশ প্রজাপতি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে মেয়ে কীর্তির বাড়ি ঘুরে আসেন মা। পরে রোববার (৫ ডিসেম্বর) ছেলেকে নিয়ে আবারও মেয়ের বাসায় যান তিনি। হত্যাকাণ্ডের শিকার কীর্তির বাড়ি একটি মাঠে। শাশুড়ির সঙ্গে মাঠেই কাজ করছিলেন তিনি। মা এবং ভাইকে দেখে কাজ বাদ দিয়ে বাসায় যান। দু’জনকে পানি এগিয়ে দিয়ে চা বানাতে রান্নাঘরে চলে যান কীর্তি। এমন সময় তার ভাই পেছন থেকে এসে শিরশ্ছেদ করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কীর্তির অসুস্থ স্বামী অন্য একটি কক্ষে শুয়ে ছিলেন। বাসন পড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তিনি রান্নাঘরে চলে যান। এ সময় শ্যালক তাকেও হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি পালিয়ে যান। কীর্তির কাটা মাথা হাতে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে তার ভাই। পরে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে।
এবিএ/৬ ডিসেম্বর