সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন চলমান হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজের মানের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই।
এমন ভাবে কাজ করতে হবে যেন কোন প্রশ্ন উঠতে না পারে। কারণ এই বাধঁ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করতে সরকারের উপর মহলের অনেকেই আসেন নিয়মিত মনিটরিং করেন। হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ ঠিক রেখেই কাজ করার আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ জেলার একমাত্র বোরো ফসল এই বাঁধের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। প্রকৃতি যদি অনুকূলে থাকে এবং ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ গুণগত মান বজায় থাকে তবে অবশ্যই ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবশ্যই কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। যে কটি সম্ভব শুরু করতেই হবে।
৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে ২০২১ – ২০২২ অর্থ বছরে সংশোধিত সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ এর আওতায় কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সুনামগঞ্জ জেলার ১১ উপজেলার সর্বমোট ২৪৭ টি প্রকল্প অনুমোদন করেন জেলা কমিটি। উপজেলা ওয়ারী প্রকল্প গুলো হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর ২৩ টি,বিশ্বম্ভরপুর ২১ টি,তাহিরপুর ২০ টি,ধর্ম পাশা ৩০ টি,জামালগঞ্জ ২০ টি,শান্তিগঞ্জ ১৮ টি,জগন্নাথপুর ২৩টি,দিরাই ৩০ টি,শাল্লা ৫১ টি,ও দোয়ারা বাজার ১১ টি। মোট ৬৬ কোটি টাকার বরাদ্দ ইতিমধ্যেই এসে গেছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিডি এলজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বিজন কুমার সিংহ ,সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ১ জহিরুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলী ২ মোহাম্মদ সামসুদদোহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আলী আমজাদ, এডভোকেট রইছ উদ্দিন আহমেদ, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ সভাপতি আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সহ সকল ইউএনও গণ ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এবিএ/৫ ডিসেম্বর