সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় রাজধানীর রামপুরার সড়কে পুলিশ শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতেই দেয়নি। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মৃদু ধাক্কাধাক্কিও হয়।
আজ থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বুধবার। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ তাদের মানবন্ধন করার কথা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে।
দুপুর ১২টায় রামপুরা ব্রিজের ওপর দাঁড়াতে গেলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় কয়েক শিক্ষার্থী পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দাঁড়াতে গেলে নারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। দুজন শিক্ষার্থীকে ব্রিজ থেকে সরিয়ে বনশ্রী সড়কে নামিয়ে দেন পুলিশ। পরে সেখানেই তারা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন।
শিক্ষার্থীদের সড়কে দাঁড়াতে না দেওয়ার বিষয়ে রামপুরা থানা পুলিশ বলছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে লোকজন এসে এখানে শৃঙ্খলার নষ্ট করতে পারে—এমন আশঙ্কা আছে। তাই এখানে কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের ১১ দফা : বুধবার শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর ১ নম্বরটি ছিল- সড়কে নির্মম হত্যার শিকার নাঈম ও মাঈনুদ্দিন হত্যার বিচার করতে হবে। তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো— সারা দেশে সব পরিবহণে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ ভাড়ার জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রসঙ্গত সোমবার রামপুরায় অনাবিল পরিবহণের একটি বাসের চাপায় এসএসসি শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন (১৭) নিহত হয়। সোমবার রাত ১১টার দিকে রামপুরাবাজার ও টিভি সেন্টারের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংকের সামনে ডিআইটি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ১২টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা। গণপিটুনিতে বাসচালক জ্ঞান হারান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চালকের সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নিহত মাঈনুদ্দিন স্থানীয় একরামুন্নেছা স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
এবিএ/ ২ ডিসেম্বর