শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি:: শায়েস্তাগঞ্জের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে জাল টাকা। এতে করে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর বাজার, সুতাং বাজার ও অলিপুরে ইদানীং জাল টাকার লেনদেন বেড়েছে।
বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বাইকে এসে কয়েকটি চক্র জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। যদিও তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিল কিংবা এক লাখ টাকার বান্ডিলের ভেতরে কয়েকটি জাল টাকা ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে জাল টাকা বৈধ টাকা হিসাবে চালানো হয়।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বিকাশের দোকানে জাল টাকা প্রায়ই ধরা পড়ে থাকে। গত এক সপ্তাহে অলিপুরে কয়েকটি জাল টাকা ধরা পড়েছে। ধরা পড়লে নানান অজুহাত আর টালবাহানা করে জাল টাকা বহনকারী ব্যক্তি নিজের অজান্তে এ টাকা অন্যখান থেকে গ্রহণ করেছেন বলে দায় এড়িয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফার্স্ট ট্রাকের ম্যানেজার জানান, কয়েকদিন আগে একজন গ্রাহক একটি ৫০০ টাকার জাল নোট জমা দিতে আসেন। নোটটি সন্দেহজনক হলে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দেন। পরে ঐ কাস্টমার টাকা ছিঁড়ে ফেলবেন মর্মে ফেরত হিসেবে বুঝে নেন।
গত সপ্তাহে নুরপুরের একজন মরিচ ব্যবসায়ীকে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ১০০০ টাকা নোট দিয়ে যান এক পথচারী। পরে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গেলে তিনি জানতে পারেন নোটটি জাল।
একজন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ম্যানেজার অভিযোগ করেন, গত বুধবারে একজন এক লাখ টাকার বান্ডিল নিয়ে আসেন টাকা ডিপোজিট করার জন্য তিনি টাকা গুণে বুঝে নেন। পরে ওই টাকা ব্রাঞ্চে জমা দিতে গেলে দেখেন একটি ৫০০ টাকার নোট ব্যাংক থেকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। এরপর জাল টাকার বিষয়ে গ্রাহককে জানালে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব জানান, বাজারে জাল টাকার কোন লেনদেন হচ্ছে এ বিষয়ে আমাকে কেউ কখনো জানায়নি। আমি যেহেতু এ বিষয়ে অবগত হয়েছি, শায়েস্তাগঞ্জে জাল টাকার কোন চক্র আছে কি-না এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
এবিএ/২৯ নভেস্বর