প্রচারণার শেষ মুহূর্তে মিছিল-শোডাউন ও পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্র দখলের শঙ্কায় আছেন কয়েকজন প্রার্থী। সদরের ৯ ইউনিয়নের ১৯টি কেন্দ্রের ঝুঁকির বিষয়ে নির্বাচন অফিসকে জানিয়েছেন তারা।
সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ভোট রোববার। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওইসব নির্বাচনি এলাকায় সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়েছে।
সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের কয়েকজন প্রার্থী কেন্দ্র দখল ও সংঘাতের আশঙ্কায় লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জানান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ১৯ কেন্দ্র দখল হওয়ার শঙ্কায় প্রার্থীরা শুক্রবার পর্যন্ত লিখিত আবেদন দিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বীরা একে অপরের বাড়ির কাছের কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বা দখল হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন।
ঝুঁকি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা উত্তম কুমার।
অন্যদিকে নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনেও পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন প্রার্থীরা৷
সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুল মিয়া তার কর্মীদের দিয়ে আমার পোস্টার ছিড়াইছে আর সমর্থকদের মারছে। এ বিষয়ে আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে ফুল মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ও আমার লোকদের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন মারধর করেছে। তারা আমার পোস্টার ছিঁড়েছে। আমি এসব ঘটনায় নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।’
সুনামগঞ্জ নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার দুই উপজেলার ১৭টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০৬ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ২১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৭৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুটি উপজেলার মোট ভোটার ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯৪।
ওই দুই উপজেলায় ৪ জন করে ৮ জন রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন।
সুনামগঞ্জ সদরে ৯টি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনয়নে নির্বাচন হবে। দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১৬১টি কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে এবং সদরের এক ইউনিয়নের ৯ কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এবিএ/২৮ নভেম্বর