আমি সাথিয়া:: নিজ যোগ্যতায় পরিশ্রম করে বড় হোন। নিজ যোগ্যতায় পাওয়ার মধ্যে যতোটা আনন্দ ও তৃপ্ততা মিলে। অন্যের অর্জন করা জিনিস পাওয়ার মধ্যে ততোটা তৃপ্ততা মিলে না।
আর সে জন্য নিজে পরিশ্রম করুন। আমরা পরিশ্রম না করে চোরের মতো অন্যের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকি। কখন সে দিবে আর আমরা তো উপভোগ করবো।
জীবনে তারাই বড় হয় যারা নিজ কর্ম ও যোগ্যতায় এগিয়ে যায়। কোনো মানুষের দেয়া দান অথবা ধন গ্রহণ করা সমুচিত নয়। কারণ মানুষের দেয়া দান বা ধন হৃদয় কে প্রসন্ন নয় বরং হীন করে। তখন দান দেয়া ব্যক্তির দ্বারা প্ররোচিত হয়ে অসৎ কর্ম করতে আমরা বাধ্য হই।
বিপদ সকল মানুষেরই জীবনে আসে। সুতরাং বিপদ বলে চেঁচামেচি না করে ধৈর্য ও সাহসীকতার সহীত তার মোকাবেলা করা উচিত। প্রথমে নিজে চেষ্টা করা উচিত আর যখন নিজে না পারা যায় তখন কারো সহযোগিতা নেওয়া উচিত।
আর সহযোগিতাও ভালো ব্যক্তির থেকে গ্রহণ করা উচিত। কারণ খারাপ ব্যক্তির সহযোগিতার পেছনে খারাপ উদ্যেশ্য থাকে। যেমন করে দূর্যোধন কর্ণকে খারাপ উদেশ্য নিয়ে অঙ্গ প্রদেশের রাজা করেছিলো। কিন্তু অঙ্গরাজ কর্ণ যদি মোহে আবদ্ধ না হয়ে রাজ্যসন ত্যাগ করতেন। তাহলে অধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন হতো না। আর তার মামা শকুনির জালে বন্দী হয়ে পাপের বোঝায় নরকযন্ত্রণায় ভোগ করতে হতো না।
আমরা সাময়িক সুখের জন্য ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দেই। দেশের বড় বড় সরকারী কর্মচারীদের প্রয়োজন আছে কি ঘুস খাওয়ার দূর্ণীতি করার। তবুও তারা অনিয়ম অনীতি সব সময় করেই যাচ্ছে।
মুখে বড় কথা বলে সমাজের কোনো উপকার হয় না। মনে ও হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হয়। যাদের হৃদয়ে দেশপ্রেম থাকে তারা কখনোই অসৎ হতে পারে না। কারণ দেশপ্রেম মানুষকে সত্যে সাহসী ও নির্ভীক করে তুলে।
এবিএ/২৭ নভেম্বর