এসবিএন: ভাত দে, কাজ দে, নইলে বেকার ভাতা দে
—— কমরেড সিকান্দর আলী
“শোষণ বঞ্চনা, বেকারত্বের ভিত্ত ভাঙ্গো, যুব অধিকার প্রতিষ্ঠা করো”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১১ ফেব্রুয়ারী বেলা ২টায় ওয়ার্কার্স পার্টির পৌরবিপনীস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সিলেট জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় অন্যতম সদস্য পার্টির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকান্দর আলী বলেন, মহাজোট সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ওয়াদা করেছিলেন অতি দুঃখের বিষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে ৪ কোটি কর্মক্ষম বেকার যুবকের বুকফাঁটা কান্নার আর্তনাদ।
যে যুবকরা তাদের শ্রম দিয়ে এ স্বাধীন বাংলাদেশকে আরো সুন্দর করে একটি সমৃদ্ধশালী সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারতেন, কিন্তু তার বিপরীতে দেখা যাচ্ছে কাজের আশায় নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে হাজার হাজার বেকার যুবক নৌকা পথে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে পানির অভাবে, খাবারের অভাবে সলিল সমাধি হচ্ছে সাগরেই।
মালয়েশিয়া, ব্রাজিরের গহীন জঙ্গলের গণকবরে হচ্ছে তাদের শেষ ঠিকানা, কেউ আবার জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা মাদকের নেশায়। চাকরির আশায় কফিনে লাশ দেখার জন্য তো ৩০ লক্ষ লোক প্রাণ দেয় নি, এর জন্য তো ২ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারায়নি।
শহীদরা জীবন দিয়েছিল, মা-বোনরা সম্ভ্রম দিয়েছিল এই আশায় যে তার পরবর্তী প্রজন্ম অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে, মৌলিক চাহিদাগুলোর নিশ্চয়তা পাবে। তাই তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন- ভাত দে, কাজ দে, নইলে বেকার ভাতা দে।
সম্মেলনের উদ্বোধক বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাব্বাহ আলী খান কলিন্স বলেন, আমরা ১৪ দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী সভায় আছি দু’টি যৌক্তিক কারণে, একটি হলো সংসদ পাহারা দিবার জন্য যাতে তারা দুর্নীতি লুটপাট না করতে পারে, অন্যটি হলো মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসনে পারে।
এই দুটি বিষয়ের মধ্য দিয়েই সংসদ এবং সংসদের বাহিরে থেকে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে লক্ষ পৌছাতে হবে।
লড়াই সংগ্রাম ছাড়া মৌলিক দাবী কখনই কোন সরকার পূরণ করে নি, করবেও না। তাই যুব মৈত্রীর প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে মাঠে ময়দানে লড়াই সংগ্রামে থাকর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সিলেট জেলার আহ্বায়ক শামীম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিত খানের পরিচালনায় সম্মেলনে উদ্বোধনের পর পার্টি কার্যালয় থেকে একটি বণার্ঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
র্যালী শেষে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুব মৈত্রী সিলেট বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিমাংশু মিত্র, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সিলেট জেলা সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ কমরেড আবুল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী আলফাজ হোসেন, নারী মুক্তি সংসদ সিলেট জেলা সভাপতি ইন্দ্রানী সেন শম্পা, যুব মৈত্রী সিলেট মহানগর সভাপতি মো. ইউসুফ আহমদ, ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সভাপতি স্বপন দাস, যুব নেতা মিত্বাউল হাসান লাকী প্রমুখ।