এসবিএন ডেস্ক: পণ্যে পাটের মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সব ধরনের কাঁচা পাট রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, “পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কাচাঁ পাট রপ্তানি বন্ধ রাখা হল।”
এর আগে ৩ নভেম্বর দেশের পাটকলগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এক মাস কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।
এবার উৎপাদন কম হওয়ার কথা বলে পাটকল মালিকরা বেশ কিছুদিন ধরে কাঁচা পাট রপ্তানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
তবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বলছে, ডিসেম্বর থেকে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে পাটের প্রয়োজন হবে।
এর মধ্যে সোমবার থেকে পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে অভিযান চলছে।
ওই ছয়টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানানো হয়।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ অনুযায়ী পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
ধান-চালে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাতাল মিল মালিকদের লাইসেন্স এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি ও রপ্তানিকারকদের লাইসেন্স বাতিল করবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ৭৫ লাখ বেল (এক বেলের ওজন ১৮২ কেজি) পাট উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের বছরের ৬৫ হাজার বেল থেকে বেশি।
তবে এবার পাটের ফলন কম হওয়ায় ৬৫ লাখ বেলের কাছাকাছি পাট উৎপাদিত হতে পারে বলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ধারণা।
বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাটের পাশাপাশি পাট সুতা, বস্তা, চট ও পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। কাঁচা পাট বেশির ভাগটাই যায় ভারত ও পাকিস্তানে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে সোয়া নয় লাখ বেল কাঁচা পাট রপ্তানি হয়।