সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: ছিন্নমুল শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জয়পুরহাট শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তৃসা পারভিনের বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও প্রধান শিক্ষক। বাল্য বিয়ে বন্ধ করে ওই অসহায় শিশুটিকে বুধবার দুপুরে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা নওগাঁ (এতিম খানা) ভর্তি করে সেখানে নিরাপদে লেখাপড়া করার সার্বিক ব্যবস্থার করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের মাড়োয়ারী পট্টি এলাকার একটি কাজী অফিসে ওই শিশু শিক্ষার্থীর সাথে জয়পুরহাট শহরের বামনপুর-টুকুর মোড় এলাকার এক লেদ- শ্রমিক সাথে বিয়ের বন্দোবস্ত করে মেয়েটির পরিবার ও লেদ- শ্রমিক পরিবার। পরের দিন সকালে স্কুলে গিয়ে মেয়েটি কাঁদতে দেখে তার প্রধান শিক্ষক আইয়ূব আলী , তখন প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি বলে, তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের কথা শুনে প্রধান শিক্ষক জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে মেয়েটিকে প্রধান শিক্ষকের জিম্মায় তার বাড়িতে রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুটিকে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা নওগাঁ (এতিম খানা) ভর্তি করে সেখানে সরকারি খরচে নিরাপদে লেখাপড়া করার সার্বিক ব্যবস্থা করেন। ওই শিশু ছাত্রীকে ১৭ নভেম্বর (বুধবার) নওগাঁয় ওই এতিম খানায় ভর্তি করান প্রধান শিক্ষকসহ অনন্য শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য যে, ওই শিশুটির বাবা তাকে ও তার মাকে নানার বাড়ি জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি এলাকায় রেখে আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। সেই থেকে মেয়েটির মা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সেই থেকে শিশুটি ছিন্নমূল শিশুদের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে আসছিল। মেয়েটির পরিবার জানায়,আমাদের মেয়েটি এতিমখানায় থেকে মানুষের মতো মানুষ হয়ে অনেক বড় হোক এতে আমরা অনেক খুশি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে করেছেন জয়পুরহাট শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগড়ি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’র প্রধান শিক্ষক আইয়ূব আলী।
“সরকারি শিশু পরিবার বালিকা নওগাঁ” সহকারি তত্ত্বাবধায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা তৃসাকে নিয়ে আসলে আমরা ভর্তি নিয়েছি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান জানান, বাল্য বিবাহর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং জয়পুরহাটে বালিকা প্রতিষ্ঠান না থাকায়, মেয়েটিকে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা নওগাঁয় ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবিএ/১৭ নভেম্বের