সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় নিজেকে বাঁচাতে ওই ছাত্রী বাস থেকে লাফ দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে নিচে পড়েন। এ ঘটনায় ওই বাসের চালক মো. খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার(৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সেকেন্ট গোলড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সুনামগঞ্জের দিরাইয়েও এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। তিনিও নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকেই লাফ দিয়ে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। আটক খোকনের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের আটিয়া ব্যাপারীপাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, তিনি মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী। ধামরাইয়ে বোনের বাসা থেকে বাড়ি ফেরার জন্য থানা স্ট্যান্ড থেকে জনসেবা বাসে ওঠেন। বাসটি কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শ্রীরামপুর বাসস্ট্যান্ডে এলে তিনি ছাড়া সব যাত্রী নেমে যান। গাড়ির চালক ও হেলপার তাকে একাই নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সেকেন্ট গোলড়া এলে বাস নষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে থামিয়ে দেন চালক। এ সময় হেলপার বাস থেকে নিচে নামলে চালক ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়। একপর্যায়ে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে নিজেকে বাঁচাতে তিনি বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নিচে ছিটকে পড়েন।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মেয়েটি লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার পর একটি প্রাইভেটকার তার কাছে আসে। তিনি প্রাইভেটকারে থাকা আরোহীদের বিষয়টি জানান। এ সময় হেলপারকে রেখে চালক বাসটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে চালকসহ ওই বাসটি আটক করে গোলড়া হাইওয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। হাইওয়ে পুলিশ বাসসহ চালক খোকনকে সাটুরিয়া থানায় হস্তান্তর করে।সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, খোকন মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছেন ওই ছাত্রী।
বিএ/৭ নভেম্বর