আমি সাথিয়া:: কিছু মানুষ আছে যে নিজেকে সমাজে কেবল ভালো দেখায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা কখনো ভালো লোক ছিলো না। সমাজে জনতার মঞ্চে বড় নাম তাদের। কেউ চক্ষু লজ্জায় কিছু বলতে চায় না আবার কেউ বলতে চেয়ে দূর্বল সাহসের অধিকারী হওয়ায় বলতে পারে না। আবার কেউ কেউ মনে করে আমি অযথা বলতে গিয়ে শত্তুর হতে যাবো কেনো। আমার তো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
এতে করে খারাপ লোকেদের দাপট আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়। কোনো অশ্লীল কর্মকাণ্ড দেখে নিরব থাকা মানে নিজেকে তাদের সমরূপ পাপে দণ্ডায়মান করা নয় কি?
এমন করেই সমাজে বাড়ছে যতো সমস্যা। আমরা সবাই যেনো বলির অবাধ্য পাঠা। রাতারাতি গড়ে ফেলছে আলিশান বাড়ি। আমরা নিজ নিজ পেশাকে সম্মানের সহিত পালন করছি না। সমাজের সব পেশা সবার কাছে সমান গুরুত্ব। জীবনের মানেই কেবল সেবা। এটা যখন আমরা মন থেকে মেনে নিব তখন আমাদের দ্বারা কেবল উপকারই হবে।
কিসের এতো ভয় মানুষের বুঝতে পারি না। সবার কেবল প্রাপ্তির এতো লোভ। লাজ লজ্জা সব খেয়ে আমরা খারাপদের সাথে সেল্ফি তুলি। আমাদের মননের সূতিকাগারে খুবই পচন ধরেছে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানীত তারাই যারা লেখালেখি করেন। কারণ সকল পেশায়ই শ্রমের বা কাজের বিনিময়ে অর্থ মিলে। কিন্তু একমাত্র লেখালেখি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। যারা সাহিত্য চর্চা করেন লিখেন তারা পুরোটা সময়, মেধা ও শ্রম দেশ সেবায় ব্যয় করেন। এ জন্য কবি, সাহিত্যিকেরা সবচেয়ে সম্মানের, তারা অনন্য উচ্চতায়।
কিন্তু আমরা এখন এটাকে নোংরা করে ফেলেছি। আমরা যাকে তাকে নিয়ে লিখি। অথচ ‘সমাজে কতো অনৈতিক ঘটনা ঘটে তা লিখি না। খুন,ধর্ষণ, ঘুষ যতো প্রকার অপ্রীতিকর কাণ্ড ঘটে তা লিখলে, প্রতিদিন ৫০ পেইজ লেখা যাবে, কিন্তু আমরা তা করছি না।
আপনারা কেনোই বা লিখেন? লেখালেখি কি কেবলি নিজের সুবিধার জন্য? লেখালেখি কি অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য? হায়রে লেখক! হায়রে কবি! হায়রে সাহিত্যিক!
আমি বলি কি যে লেখা সমাজের কোনো কাজে আসে না, যে লেখা মানুষের উপকারে সমৃদ্ধ হয় না সে লেখা নিষ্প্রয়োজন। ‘যে লেখা সমাজের অবহেলিত, নিষ্পেষিত, নির্যাতিতের শান্তির জন্য সমাজের অন্য রক্তখেকোদের শ্বাসরোধ করতে পারে না, তিনি বা তারা লেখক নন কেবলি স্বার্থলোভীর মতোই’।
‘সমাজের মঙ্গলের জন্য যদি শত্রু হতে হয় সমাজ অমঙ্গলকারীদের নিকট, যদি দেশের সুখের লাগি নিজেকে অনাহারে, অর্ধাহারে, অতিবাহিত করতে হয়। তাতেও জীবন পরিসমাপ্তির ক্ষণে আছে একরাশ প্রশান্তি,।
“জীবন সেবার জন্য, ভোগের জন্য নয়”|
লেখক: কবি আমি সাথিয়া
এবিএ/০৬ নভেম্বর