সিলেট৭১নিউজ::কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জেতাতে প্রয়োজনে ‘একে-৪৭’ ব্যবহার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রকাশ্য জনসভায় মাইকে মামুন বলেন, ‘আমরা আমাদের শুধু একে-৪৭ নয়, প্রয়োজনে যা যা দরকার তা নিয়ে আমরা রফিকুল ইসলাম ধনু মিয়াকে পাস করাতে আসব’। আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের ৭ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেশের নামকরা এক গনমাধ্যমের হাতে রয়েছে। মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওটির এক মিনিট থেকে এক মিনিট আট সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি এ বিস্ফোরক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘এমপি সাহেবের চোখ লাল হয়ে আছে। আওয়ামী লীগের চোখ লাল হয়ে আছে। এমপি সাহেবের সমর্থন আছে আমার কথায়। উনার ইঙ্গিতেই আমি এগুলো বলছি’। প্রশাসন আমাদের, পুলিশ আমাদের, সরকার আমাদের। আর কিছু বলার দরকার আছে’? আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের পর ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ না হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
গতকাল শুক্রবার (৫ নভেম্বর) শেষ বিকালে বাজিতপুরের হুমাইপুর ইউনিয়নের টান গোসাইপুর গ্রামে অবস্থিত ‘হুমাইপুর ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা’র মাঠে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ধনু মিয়ার পক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রকাশ্যে এ ধরনের হুমকি দেন তিনি। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অজানা দুর্বৃত্তরা হুমাইপুরের চৈতনপুর ও নামা গোসাইপুর গ্রামের মাঝখানের রাস্তার ওপর ঝোলানো দলীয় প্রতীক নৌকা পুড়িয়ে দেয়। এর প্রতিবাদেই এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। হুমাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মো. আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে আব্দুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও বক্তব্য দেন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ধনু মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, বাজিতপুর পৌর আওয়ামী লীগের নেতা শওকত আকবর, সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নৌকার বাইরে কাউকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। নৌকার ভোট হবে এইরকম টেবিলের ওপর ওপেন’। মেম্বার প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা এজেন্টদের বলে দেবেন, নৌকার ভোট কাইত্যার তলে (পাটির আড়ালে) হবে না, নৌকার ভোট হবে সবার সামনে। কোনো মেম্বার প্রার্থীর এজেন্ট বিরোধিতা করলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বের করে দেব’। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।
বিএ/৬ নভেম্বর