এসবিএন নিউজ: আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেট মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তাকে দখলমুক্ত করতে সিলেটপ্রেমী সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা’র আয়োজনে ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর জেল রোডস্থ দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ৩য় তলার সেমিনার কক্ষে ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করার দাবীতে সিলেট মহানগরীর সর্বস্তরের সম্মানীত নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন।
হযরত শাহজালাল (রহ), হযরত শাহপরান (রহ:) ও শ্রী চৈতন্য দেবের পূণ্যভুমি হিসেবে অধিকতর পরিচিত এই সিলেট বিভাগ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে।
পাশাপাশি বৃহত্তর সিলেটের চা বাগান, মাধবকুন্ডের জলপ্রপাত, জাফলং, শ্রীপুর, রাতারগুল, লালাখাল সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র জনসাধারণের শুভাকেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।
তাই বৃহত্তর সিলেট পর্যটন শিল্প দীর্ঘদিন থেকে বিশাল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
এই সম্ভাবনাময় আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পর্যটন নগরী সিলেট মহানগরীর সৌন্দর্য্য রক্ষায় নগরীর ফুটপাত ও রাস্তাকে সর্বস্তরের জনসাধারনের অবাধ চলাচলের জন্য দখলমুক্ত করা অধিকতর জরুরী।
বক্তারা আরো বলেন, শিকড়ের টানে ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবাসীরা পর্যটন নগরী সিলেটে ভ্রমনে আসেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, নগরীতে প্রবেশ করেই সর্বস্তরের জনসাধারন বিভিন্ন প্রতিকুলতার সম্মুখীন হন।
তারমধ্যে ফুটপাত ও রাস্তায় চলাচল দুঃসাধ্য ব্যাপার। মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মহল সবকিছু দেখেই যেন না দেখার ভান করেন, তার জন্য সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।
শীঘ্রই সিলেট মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তাকে দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া অতিব জরুরী।
পাশাপাশি আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেট মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তাকে দখলমুক্ত করতে সিলেটপ্রেমী সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস ২০১০এ জাতীয় যুব পুরস্কার ‘‘শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত” সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে অন্যতম সদস্য এ.কে কামাল হোসেনের পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করেন মো. আল আমিন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মতামত উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন- এসসিসিআই’র পরিচালক ও জিন্দাবাজার ব্যবসায়ী ফোরাম’র সভাপতি মো. লায়েছ উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ী ফোরাম’র সেক্রেটারী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সুন্দর, সিলেট ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ’র আহবায়ক ও শুকরিয়া আধুনিক বিপনী কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া হোসেন নিঝুম, বিশিষ্ট সাংবাদিক রুহুল ফারুক, মোতালিব ভিলা শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাওলানা ফিরোজ উদ্দিন, বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক মো. আসাদুজ্জামান, দোয়ারা বাজার থানা কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুর রহিম, জল্লারপারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. দবির উদ্দিন, সিলেট লোকসঙ্গীত পরিষদ’র সভাপতি এসএম.শাহজাহান, এএমএইচ নিজাম, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সিলেট টুরিষ্ট ক্লাবের অর্থ সম্পাদক মো. আব্দুল ওদুদ, সিলেট ব্যবসায়ী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ’র অর্থ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম প্রচার সচিব জাহেদুল ইসলাম জাফর, সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়ন পরিষদ বিশিষ্ট যুব সংগঠক মো. মোয়াজ্জিন হোসাইন, মোহাম্মদ আখলু মিয়া, ভার্থখলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সাদিকুর রহমান, সংস্থার উপদেষ্টা মো. আবুল হোসেন, সরকার কোয়েল হ্যাচারীর পরিচালক আব্দুর রহমান, বিভিন্ন স্থরের ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মীদের মধ্য থেকে সাহাবউদ্দীন আহমেদ সাবু, মো. মাহবুব ইকবাল মুন্না, মো. মাছুম চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ, মো. আবদুর রহমান, মহসিন চৌধুরী, মো. জাবেদ চৌধুরী, এরশাদ মিয়া, মো. মিলন হোসেন, মো. পিকুল হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, আরাফাত হোসেন সোহাগ, মো. আব্দুল হাননান, মো. রুয়েল আহমদ তুষার, মো. আলিম উদ্দিন, মো. রাহাত হোসেন চৌধুরী শিমুল ও মাওলানা আব্দুর রহমান সাজু।
বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বিভাগীয় সফল যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত মো. জিয়াউর রহমান জিয়া।
মতবিনিময় সভায় সিলেট নগরীর প্রায় অর্ধ শতাধিক সচেতন নাগরিকবৃন্দ স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।