সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন রিয়া কর (১৮)। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হওয়ার জন্য শুরু করেন কঠোর অধ্যবসায়। পড়াশোনায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য নিজেদের বাসা ছেড়ে পাশের বাসার একটি কক্ষ ভাড়া করে সেখানে দিন-রাত চালিয়ে যান পড়াশোনা। পরে বুয়েটে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে ফলাফল প্রকাশ হলে জানা যায় রিয়া অকৃতকার্য হয়েছেন।
এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা ভাড়া বাসায় রিয়া ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। নিহত রিয়া কর নগরীর বাঘমারার চিত্ত করের মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিয়া অকৃতকার্য হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে রিয়ার মা তাকে অনেক ডাকাডাকি করে। মেয়ের কোনো সাড়া না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তিনতলার ভাড়া বাসার দরজা ভেঙে রিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ অবস্থায় রিয়াকে নামিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
রিয়ার স্বজন ঐশী জানান, রিয়া কর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে বুয়েটে ভর্তির জন্য কোচিংয়ে লেখাপড়া করে আসছিল।
ঐশী বলেন, বাসায় পরিবারের অনেক লোক একসঙ্গে থাকার কারণে পাশেই একটি রুম ভাড়া করে একা থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়া। তার মৃত্যুতে তার বাবা চিত্ত কর ও মা ভেঙে পড়েছেন।
রিয়ার বাবা চিত্ত করের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার মদন থানায়। ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারায় তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, লাশ মর্গে আছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এবিএ/১৪