এসবিএন নিউজ: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের উপর নির্মম জুলুম অত্যাচার ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তারা এখনো উত্তম কুমার লাহেরীর বসতভিটা সংলগ্ন পাথর কোয়ারী দখল করে লুটতরাজ চালাচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ থানায় (মামলা নং- ১১/১১ তারিখ) তার দাখিলকৃত মামলাটি নিয়ে চলছে নানা টালবাহানা।
বেপরোয় রযেছে হামলাকারী ও জবরদখলকারীরা। প্রভাবশালীদের অত্যাচারে অতিষ্ট উত্তম কুমার লাহেরী ৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার সিলেটের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনার সাথে যোগাযোগ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপারকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভূমিকা ও পাথর খেকোদের আগ্রাসন হামলা মিথ্যা মামলা ও কোয়ারী দখলের ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্য শুনে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েছ আলমকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে উত্তম কুমার লাহেরী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশ পেয়ে তিনি তার মালিকানাধীন কোয়ারীতে কাজ করার সময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তিনি জানান তার জমি কারো কাছে তিনি বিক্রি করেননি। প্রভাবশালীরা একজন আওয়ামীলীগ নেতার কাছে জমি বিক্রি করেছি মর্মে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী ইন্দন দিয়ে ভীতি ছড়াচ্ছেন জনৈক মছন মিয়া।
তিনি আরো জানান, তাকে যারা মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেও তিনি বিপদে আছেন। তার মামলার আসামীরা জামিনে এসে এখনো বেপরোয়া আচরণ করছে ও ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। যেজন্য তিনি প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার কালাইরাগের উত্তম কুমার লাহেরীর বাড়ী সংলগ্ন পাথর কোয়ারীতে মছন মিয়াসহ অন্যান্য আসামীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে সহ তার স্ত্রী সন্তানকে গুরুতর আহত করে এবং কোয়ারী দখল করে নেয় একটি চক্র। এ ঘটনায় ঐদিন উত্তম কুমার লাহেরী ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- ১১/১১)।
মামলার আসামীরা হলেন, কালাইরাগের মৃত নন্দ লাল লাহেরীর ছেলে নিল কুমার লাহেরী, জমির আলীর ছেলে সাচ্চা মিয়া, বাদল সরকারের ছেলে বিজন সরকার, ফজলু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া, মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, মদরিছ আলীর ছেলে আহাদ, হাছান আলীর ছেলে রইছ মিয়া, মৃত দুর্গা মোহন শিলের ছেলে অখিল বিশ্বাস, কালীবাড়ীর মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল আজিজ, আব্দুল হেকিম।
উল্লেখ্য যে, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ এসআই মিয়া আবুল কালাম আজাদ সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উত্তম কুমারের ভোগদখলীয় ভূ-সম্পত্তির সত্যতার বিবরণ তুলে ধরে একটি প্রতিবেদনও প্রদান করেন। যার স্মারক নং- ৩২২৩।
এব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েছ আলম জানান, তিনি পুলিশ সুপারের কোন নির্দেশ এখনো পাননি। তবে পক্ষে বিপক্ষে দুটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। উত্তমের কোয়ারী লুটপাটের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।