সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফা শেষে ষষ্ঠ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ আজ সোমবার। সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে আগামী ২৭ বুধবার পর্যন্ত।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
এর আগে ১০, ১১, ১২ অক্টোবর মামলার পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে এই মামলার প্রথম, থেকে পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। মামলার পঞ্চম ধাপের প্রথমদিন রোববার (১০ অক্টোবর) সাক্ষী বেবি বেগমের চতুর্থ ধাপে বাকি থাকা জেরা দিয়ে পঞ্চম ধাপের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
ওইদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন এক সেনা কর্মকর্তা ও পাঁচ সেনা সদস্য-লে. মুনতাসির আরেফিন, সার্জেন্ট মোক্তার হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ মইন, আবু জাফর ও করপোরাল নুর মোহাম্মদ। ঘটনার সময় তারা সিনহার মরদেহ শনাক্ত করেন এবং টেকনাফের বাহারছড়া সেনা ক্যাম্পে নিয়োজিত ছিলেন।
পঞ্চম দফার শেষ দিনে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। তারা হলেন— সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ইমরান, এসআই সোহেল সিকদার, এএসআই নজরুল ও কনস্টেবল শুভ পাল।
ওইদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় ৩২তম সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ইমরান কে দিয়ে প্রতিদিনের মতো আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে আরো ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
পিপি ফরিদুল আলম জানান, এই মামলার ৫৯ জন সাক্ষীকে সাক্ষীগ্রহণের জন্য আদালত সমন জারি করেছেন। তাদের কাছ থেকে সাক্ষীগ্রহণ অবশ্যই নেওয়া হবে। আজ সোমবার ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে তোলার চেষ্টা করবো। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে চাই আমরা।
উল্লেখ্য, গতবছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। এ ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলার তদন্তভার দেন র্যাবকে।
তাদের মধ্যে ৭ জন পরদিন কক্সবাজারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই ১৪ জনের বাইরে টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেবকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়। গত ২৪ জুন দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তিনিও আত্মসমর্পণ করেন। গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল মামলাটির চার্জ গঠন করেছেন।
এবিএ/০৪