ধর্মপাশা প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মাইজবাড়ী আবদুল্লাহ হাটি গ্রাম থেকে শনিবার ( ২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাকিয়া আক্তার (১০) নামের এক বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে উদ্ধার করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।
ওই শিশুটির বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায়। তার বাবার নাম মো.জাহাঙ্গীর আলম। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। গত ৬ অক্টোবর সকাল সাতটার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে নিখোঁজ প্রতিবন্ধী ওই শিশুটিকে তাঁর বাবার কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
ওই শিশুটির পরিবার ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গত ৬ অক্টোবর সকাল সাতটার দিকে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু জাকিয়া আক্তার (১০) নিখোঁজ হয়। গত ৭ অক্টোবর গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনে ক্ষুধার্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ওই শিশুটিকে শুয়ে থাকতে দেখতে পান সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মাইজবাড়ী আবদুল্লাহ হাটি গ্রামের যুবক মৌলা মিয়া (৩০)। তিনি প্রতিবন্ধী ওই শিশুটিকে আদর করে বিস্কুট ও কলা খেতে দেন। প্রতিবন্ধী শিশুটি আদর পেয়ে ওই যুবকের পিছু ধরে তার সঙ্গে যুবকটির বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে এসে শিশুটির প্রতি চরম অবহেলা করে আসছিলেন ওই যুবক।
খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশ গতকাল শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই যুবকের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। রাতভর থানা পুলিশের হেফাজতে থাকে ওই শিশুটি। পরে ধর্মপাশা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে সন্ধ্যান পেয়ে আজ রবিবার সকাল ছয়টার দিকে শিশুটির বাবা ধর্মপাশা থানায় এলে তাঁর কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।
যুবক মৌলা মিয়া বলেন, আমি নিজেই চরম কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি। প্রতিবন্ধী শিশুটিকে আমার সাধ্যমত লালন পালন করেছি।
প্রতিবন্ধী ওই শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি যে আমার নিখোঁজ মেয়েকে জীবনে ফিরে পাব মনে এই আশা ছিল না। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। আমার মেয়েকে ফিরে পাবার জন্য ধর্মপাশা থানা পুলিশের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.খালেদ চৌধুরী বলেন, শ্রীপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশুটির বাবা আজ রবিবার সকাল ছয়টার দিকে ধর্মপাশা থানায় এলে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে তাঁর বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটির বাবা থানা পুলিশে এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এবিএ/০১