সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেওয়ার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন ইকবাল। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও জানাননি।’
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এ কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতারের পর থেকেই ইকবাল অসংলগ্ন আচরণ করছেন। জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে কুমিল্লায় আনার পর দুপুর ১টা থেকে ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিটের কর্মকর্তারা। এ সময় ইকবাল ক্লান্ত থাকলেও তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লায় প্রবেশ করে ইকবালকে বহনকারী পুলিশের মাইক্রোবাসটি। বিষয়টা নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এবিএ/০৮