সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি এবং সাংবাদিক তাসনিম খলিলসহ চার পলাতক আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
পলাতক অন্য দুই আসামি হলেন আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
প্রসিকিউশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তকে (ওসি) সম্পত্তিগুলো বাজেয়াপ্ত করার জন্য বলা হয়েছে আদেশে।
৮ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকার সেনানিবাস, সিলেটের বিশ্বনাথ, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চাটখিলের ওসিকে আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়ানো এবং সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে র্যাব-৩ রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেছিল।
মামলার অন্য তিন আসামি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, বিএলই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এবং “রাষ্ট্রচিন্তা”র সমন্বয়কারী দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া বর্তমানে জামিনে আছেন।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেনের আদালত কিশোর এবং অন্য ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আসামি লেখক মুশতাক আহমেদসহ চারজনকে অব্যাহতি দেন।
প্রসঙ্গত, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশনে “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” প্রতিবেদন প্রকাশের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খান, অনলাইন পোর্টাল নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান এবং ওয়াহিদুন নবী স্বপন ওরফে স্বপন ওয়াহিদ।
উল্লেখ্য, ২৫ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে লেখক মোশতাক আহমেদের মৃত্যু হওয়ায় তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এবিএ/১৭