সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও দুজন খুনের ঘটনায় জড়িত ৫ জন পেশাদার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
গতরাতে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-১৪ এর এএসআই শাহেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ বেলা ১২টায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে র্যাব-১৪।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের হামলায় দুজন যাত্রী নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত আরেকজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছেড়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতের হামলায় মারা যাওয়া দু’জন যাত্রী হলেন-জামালপুর শহরের ইকবালপুর এলাকার মো. ওয়াহিদের ছেলে মো. নাহিদ (৪০) এবং মৃত অন্যজন অজ্ঞাত (৪০) পরিচয়ের একজন পুরুষ।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রুবেল (২২) নামের অপর এক যাত্রী। তিনি জেলার ইসলামপুর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের হীরু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই ট্রেনের যাত্রী ফারুক নামের এক যুবক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ঢাকা থেকে কমিউটার ট্রেনের ছাদে ওঠে জামালপুরে আসছিলেন। ট্রেনটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ট্রেনের ছাদের যাত্রীদের অনেকেই ডাকাতদলের কবলে পড়েন। ৪-৫ জনের ডাকাতদলটি নাহিদসহ অনেক যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনসেট লুট করে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যায়। এরপর ট্রেনটি রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই যাত্রী ফারুক ও নাহিদসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের খুঁজতে যান। তাঁরা ডাকাতদের চিনতে পেরে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে যাত্রী নাহিদ, রুবেল ও অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।
রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে গুরুতর আহত তিনযাত্রীকে ছাদ থেকে নামিয়ে রেলওয়ে থানা-পুলিশ তাদের জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
তাদের মধ্যে নাহিদ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মো. জাকিউল আলম খান। গুরুতর আহত অপরযাত্রী রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রেনযাত্রী রুবেলের ভাষ্য অনুযায়ী ট্রেনের ছাদে তারা ডাকাত দল বা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত দুই ব্যক্তির মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর