সিলেট:: দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন সিলাম ইউনিয়নের হাজীপুর নিবাসী মৃত আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইসলাম আনা মিয়ার ছেলে, নগরির কালীঘাট ও করিম উল্লাহ মার্কেটের তরুণ ব্যবসায়ী মিনহাজুল ইসলাম পাওনা টাকা পরিশোধের তাগদা দেয়ায় এবং চেক ডিজঅনার করে নেয়ায় তাকে হত্যার হুমকী দেয়া হচ্ছে। তিনি নিজের জীবনহানীর শংকায় শংকিত হয়ে মোগলাবাজার থানায় জিডি করেছেন (জিডি নং-৩৭৯, তারিখঃ ০৮/০৯/২১খ্রিঃ)। গত ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে মোগলাবাজার থানায় এ জিডি করা হয়।
জিডি সুত্রে জানা গেছে, মিনহাজুল ইসলামের সাথে ব্যবসায়িক সুত্রে কয়েক বছর পূর্বে অপর মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সৈয়দ আরিফ আহমদের পরিচয় হয়। সৈয়দ আরিফের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে হলেও বর্তমানে তিনি সিলেট নগরির তালতলা তেলিহাওরস্থ সিলভেলি টাওয়ারের বাসিন্দা। একপর্যায়ে মিনহাজুল ইসলামের সাথে সৈয়দ আরিফের গভীর বন্ধুত্ব ও সখ্যতা গড়িয়া উঠে। এ সুযোগে সৈয়দ আরিফ বিগত ৩ বছর পূর্বে বন্ধু মিনহাজুল ইসলামের কাছে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ২৮ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দেন এবং এর বিপরীতে উক্ত পরিমান টাকা উল্লেখ করে সিটি ব্যাংক লিঃ সিলেটের জিন্দাবাজার শাখার একটি চেক হস্তান্তর করেন। বন্ধুর বিনীত অনুরোধ এবং চেক-এর বিপরীতে মিনহাজুল ইসলাম সরল বিশ্বাসে সৈয়দ আরিফ আহমদের নামে নিজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে কয়েক ধাপে ২৮ লাখ টাকা প্রদান করেন।
ইতোমধ্যে পাওনাদার মিনহাজুল ইসলাম তাঁর নিজের প্রয়োজনে সৈয়দ আরিফকে পাওনা টাকা ফেরত প্রদানের জন্য অনুরোধ জানালে দেনাদার বিবাদী দেবো, দিচ্ছি করে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। কিন্তু পাওনা অর্থ পরিশোধের কোন ব্যবস্থা করেন নি। এমতাবস্থায় বাদী বিবাদীর চেক নিয়া ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা হস্তান্তরে অপারগতা প্রকাশ করে চেক ডিজঅনারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করে। শেষপর্যন্ত বাদী বিরক্ত হইয়া বিবাদীর মোবাইল ফোনে কল দিলে বিবাদী বাদীকে অন্যায়ভাবে গালাগালি ও হত্যার হুমকী দেন। নিজের নিরাপত্তায় শংকিত হয়ে বাদী মোগলাবাজার থানায় জিডি করতে বাধ্য হন।
সিলেট৭১নিউজ/প্রেসবিজ্ঞপ্তি/সিএমএফ