সিলেট৭১নিউজ:: গাজীপুর চৌরাস্তার প্রভাবশালী এক পরিবারের সদস্য তরুণ রাজনীতিক-ব্যবসায়ীর সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর দ্বিতীয় বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের রেশ কাটতে না কাটতেই মিডিয়া পাড়ায় এ গুঞ্জন। যদিও বিষয়টি মাহী অস্বীকার করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘না। বিয়ে হয়নি। আমরা বন্ধু। শুধু বন্ধু না, আমরা অনেক অনেক ভালো বন্ধু।’ সমালোচকরা বলছেন, যা রটে তা কিছু না কিছু বটে। রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহী বন্ধু বটে, তবে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে বা পরে বন্ধুত্ব গড়িয়েছে প্রণয়ে। তারই সফল পরিণতি হতে পারে বিয়ের মধ্য দিয়ে। তবে এর কিছুই প্রকাশ করা যাচ্ছে না এখন।
কারণ, অপুর সঙ্গে মাহীর আইনি বিচ্ছেদ কার্যকরের জন্য ন্যূনতম তিন মাস তো সময় লাগবে। ফলে গাজীপুরের সরকার পরিবারে মাহিয়া মাহীর বউ হয়ে যাওয়ার খবরটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।
গত ২৩ মে মাহি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা।’
স্পষ্টতই বোঝা যায়, এখানে তিনি ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে দাবি করেছেন তার স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুকে।
সংসার বিচ্ছেদের বিষয়টি মাহি তার পোস্টে আরও স্পষ্ট করেন স্বামী পক্ষের প্রতি স্মৃতিকাতর হয়ে, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা।’
এমন ঘটনায় ‘ফ্রি বার্ড’ নয়, বরং নিজেকে অপরাধী মনে করছেন ঢালিউডের ‘অগ্নি’-খ্যাত মাহি। শ্বশুরবাড়ি কিংবা স্বামীর প্রতি তার আবেদন, ‘আমাকে মাফ করে দিও। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো।’
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহী। গত ২৪ মে তাদের পঞ্চম বিয়ে বার্ষিকীর আগ মুহূর্তে মাহী জানান, একসঙ্গে আর থাকছেন না তারা। ওই দিনই তারা বিবাহ বিচ্ছেদপত্রে স্বাক্ষর করেন। এখন মাহীর গোপন বিয়ের খবর প্রকাশ্যে জানতে অপেক্ষা তার দর্শক-ভক্তদের।
সিলেট৭১নিউজ / টিআর/বিডিমনিং