সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: আজকের বাংলাদেশে কাক ও কোকিল চেনা বড় দুষ্কর। আমরা চিহ্নিত করতে পারছি না কে আপন কে পর।
সাদা আর কালো মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তাই সামনে যত ষড়যন্ত্রই থাক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্নভিন্ন করে নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক একথা বলেন।
নানক বলেন, এ দিনটি আমদের চেতনার জায়গাটি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মনে করিয়ে দেয় সেদিনের দৃশ্যপট। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। শেখ হাসিনাকে জনগণের নেত্রী হতে দেওয়া যাবে না। সে কারণেই সেদিন এক/এগারোর অঘটন ঘটিয়ে আমাদের পথ, আমাদের অনিবার্য বিজয় সেদিন বাধাগ্রস্ত করেছিল।
শেখ হাসিনার কারাবন্দির কথা উল্লেখ করে নানক আরও বলেন, আজ ১৬ জুলাই। তার মাত্র ১১ দিন আগে নেত্রী আমাদের সিগন্যাল দিলেন। আমাকে আর মির্জা আজমকে। ডিপ আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাও, প্রয়োজনবোধে একশ হাত মাটির নিচ দিয়ে হলেও বের হয়ে যাও, তোমাদের কিন্তু ক্রসফায়ার করবে। ১৬ জুলাই গ্রেফতারের আগ মুহুর্তে নেত্রী ফোন করে বললেন নানক, আজম আমি চলে যাচ্ছি। আমি একটি চিঠি রেখে যাচ্ছি দেশবাসীর জন্য।
‘এই চিঠিটি সারা বাংলাদেশে প্রচার করবে, আমাদের কর্মীদের পৌঁছে দেবে। এটাই হয়তো তোমাদের সঙ্গে আমার শেষ কথা আজ। আমাকে কী করবে আমি জানি না। তবে বিশ্বাসঘাতকতার আর কী দেখেছো? আজ আমার গ্রেফতারের পরে দেখবা আমার আওয়ামী লীগের নেতারা কী পরিমাণ বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ আলোচনায় ভার্চ্যুয়ালি তার সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
সিলেট৭১নিউজ/বাংলা নিউজ/টিআর