সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: বর্তমানে সড়ক-মহাসড়কে বের হলেই দেখা মেলে ঘরমুখো মানুষের। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীর মানুষ।
যে যেভাবে পারছেন সেভাবে বাড়ি যাচ্ছেন।
শিথিল লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সড়কে রয়েছে দীর্ঘ যানজট। শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া থেকে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষকে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে আশুলিয়ার শ্রীপুর ফুটওভার ব্রিজের নিচে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরো দেখা যায়- আশুলিয়ার বাইপাইল স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী উঠিয়ে শ্রীপুরে যাত্রী উঠানোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিল বগুড়াগামী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ২৪-২১৭৯)। সেই ট্রাকে নারী-পুরুষ ও শিশুদেরও দেখা গেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। অল্প খরচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য এ পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
এসময় ট্রাকে ওঠা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। সাত বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রাকে দাঁড়িয়ে আছেন রহিম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাসে যেতে ভাড়া বেশি, তাই ট্রাকে উঠেছি। মাত্র ৩শ টাকা দিয়ে বগুড়া যাচ্ছি আমরা। বাড়ি যেতে হবে তো। কপালে কষ্ট থাকলে থাকবো। কি আর করার। বাসের যে ভাড়া চায় তা দেওয়া আমাদের পক্ষ সম্ভব না।
ট্রাকের এক নারী যাত্রী রহিমা বেগম। ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে উঠেছেন ট্রাকে। তিনি বাইপাইল থেকে ২০০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে উঠেছেন। নামবেন যমুনার পশ্চিম পাশে। তিনি বলেন, আমি মহিলা মানুষ বাসে যে গাদাগাদি অবস্থা ছিট পাই না। আর ভাড়াও বেশি। বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে তো যেতে পারবো না। তাই ট্রাকেই উঠেছি।
ট্রাকটির হেলপার সুমন বাংলানিউজকে বলেন, বাইপাইল স্ট্যান্ড এলাকা থেকে বগুড়াগামী ৪০ জনের মত যাত্রী উঠিয়েছি। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। যাত্রী প্রতি ৩শ টাকা ভাড়ায় উঠিয়ে নিয়েছি। তবে রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশ রয়েছে। যেতে পারব কিনা জানি না।
ট্রাকে যাত্রী নেওয়ার ব্যাপারে এইবার কোনো নির্দেশনা আছে কি-না মোবাইল ফোনে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ করিম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাকে আইনত যাত্রী নেওয়ার নিয়ম নাই।