জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার বড়ধামাই ইউনিয়নে স্থানীয় স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যাতনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ স্থানীয় জনতা আহুত শিক্ষিকা নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সুত্রাপাত ঘটে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ফটিক মিয়া ও তার সহযোগীরা মিছিলকারীদের উপর হামলা করেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। হামলা ও পাল্টা হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের প্রথমে স্থানীয় জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়৷ পরবর্তীতে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতরা হলেন, জয়নাল আবেদীন(৩৪) এমদাদুল ইসলাম(২৪), জাকির হোসেন(৩১), আবুল হোসেন (৩৭) লোকুস আহমদ(২০) এছাড়াও ফটিক মিয়ার ছোটভাই সিরাজ উদ্দিন(৪০) ও কুটি মিয়া(৩৫) প্রমুখ।
নির্যাতিত ঐ শিক্ষিকার নাম তাহমিনা আক্তার। তিনি ব্রাক অধিনস্ত কারিগরী শিক্ষা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা।
জানা যায়, ফটিক মিয়ার সাথে ঐ শিক্ষিকার শশুরের পরিবারের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তিনি চাকুরীচ্যুত করার চেষ্টা করছিলেন তাহমিনাকে। সে চেস্টায় ব্যর্থ হয়ে ঐ শিক্ষিকাকে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে ফটিক মিয়ার অনুসারীরা। সর্বশেষ ১৪ জুলাই ক্লাসে ঢুকে তাহমিনা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করেন বলে জানান ভিকটিম। ঐদিন তার ছয় বছর বয়স্ক শিশুটিকেও শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার।
নির্যাতনের প্রতিবাদে স্কুলের অভিভাবক, স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থী মানববন্ধন করলে স্থানীয় মুরব্বিরা সালিসি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি মিমাংশার আশ্বাস দেন। কিন্তু সে সুযোগ না দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে ফটিকবাহিনী। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এদিকে উক্ত ঘটনায় ফটিক মিয়া বাদী হয়ে জুড়ী থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যাচেস্টা মামলা দায়ের করেছেন৷ এখন পর্যন্ত আসামীদের নাম জানা যায়নি।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ঘটনাটির সুষ্ট তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার বাদী ফটিক মিয়ার সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।