সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: ওজন কমানোর মানুষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে পেটের মেদ কমানোর সময়। শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ কমলেও পেটের মেদ সহজে কমে না। তবে কয়েকটি নিয়ম যদি আপনি মেনে চলেন তবে সহজেই পেটের মেদ ঝরাতে পারবেন।
নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করুন
বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত, খাওয়ার সময় যদি মন দিয়ে, ধীরে ধীরে, অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খাবার খাওয়া হয়, তাহলে সেটা হজম হবে অনেক তাড়াতাড়ি। তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। এতে করে মস্তিষ্ক ঠিক মতো শরীরকে বার্তা পাঠাতে পারে না। এতে করে আপনি বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন।
উদ্বেগ কম
মন শান্ত না থাকলে শরীরের মেটাবলিজম হার কমে যায়। ঘুম ঠিক করে হয় না। এমনকি খাবারও হজম হতে দেরি হয়। তাই যতটা পারুন মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে খাওয়ার সময় এবং ঘুমের আগে।
সোজা হয়ে বসুন
আমরা বেশির ভাগ সময় সোজা হয়ে বসি না। এমনভাবে বসতে হবে যেনো পেটের পেশিগুলো ঝুলে থাকে। তাই খেয়াল রাখুন শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে।
ব্যায়াম করার সময় পেট টানটান
অনেকে রোজ মন দিয়ে এক্সারসাইজ করেন। কিন্তু কিছুতেই পেটের মেদ ঝরে না। তার কারণ যে কোনও ব্যায়াম করার সময়ে পেটের পেশিগুলো টানটান রেখে ভিতরের দিকে টেনে ব্যায়াম করতে হবে। না হলে পেটের উপর চাপ পড়বে না।
পেটের ব্যায়াম করুন
পেটের মেদ কমাতে শুধু কার্ডিয়ো করলে হবে না, পেটের ব্যায়াম করতে হবে। প্ল্যাঙ্ক বা ক্রাঞ্চেস করা প্রয়োজন। শুধু স্পট রিডাকশনে কোনও লাভ হয় না, তা এখন প্রমাণিত। তবে পেটের মাংসপেশিগুলো ট্রেন করে টানটান করার জন্য পেটের ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
যোগব্যায়াম
যোগব্যায়ামেও পেটের মেদ কমানো সম্ভব। ধনুরাসন, ভুজাঙ্গাসন, উস্ত্রাসনের মতো বেশ কিছু আসন আপনাকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
ফাইবার আর গুড ফ্যাট
এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়ে যায়। শাক-সবজি-ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ খাবার। তেল-মশলা কমে খেলেও ডায়েটে গুড ফ্যাট রাখতে হবে। না হলে শরীরে ‘ফ্যাট বার্ন’ হবে না। বাদাম, নাট-বাটারের মতো খাবারে গুড ফ্যাট থাকে। তাই এগুলো রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন।
লবণ-চিনি পরিমিত
লবণ বেশি খেলেই শরীরে পানি ধরে রাখার পরিমাণ বাড়ে। এজন্য অবশ্যই মেপে লবণ খেতে হবে। কাচা লবণ একেবারেই খাওয়া চলবে না। আর কম সোডিয়াম আছে এই ধরণের লবণ কিনুন। এছাড়া চিনিও এড়িয়ে চলতে হবে। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হলে বিকল্প হিসেবে গুড়, মধু খেতে পারেন।