সিলেট : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশীদপুরে চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলার পায়তারা করছেন একটি বাড়ির লোকজন। এ নিয়ে গোটা এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে নিজেদের চলাফেরার সুবিধার্থে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন রশিদপুর গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে মাহবুব আহমদ (৩৫)।
আবেদনে মাহবুব আহমদ উল্লেখ করেন, ‘রশিদপুর গ্রামের বিশ্বরোড হইতে মইনুল খা’র বাড়ির উত্তর পাশে পূর্বমূখি মৃত আতা মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত’ একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তাটি কেটে ফেলার পায়তারা করছেন একই গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে সেলিম আহমদ (৪৫) তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আহমদ (৪০) ও আলমগীর হোসেন (৩৮)। তারা গত ২১ মার্চ রাতে ওই রাস্তাটি কেটে ফেলার উদ্যোগ নিলে মাহবুব আহমদ দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তাটি কাটা থেকে রক্ষা করে। বর্তমানে আবারও বিবাদীরা রাস্তাটি কেটে ফেলার পায়তারা করছে। কিন্তু এলাকাবাসীর দূর্ভোগ পোহাতে ওই রাস্তায় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় মাটি ভরাট করে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।
এ ব্যাপারে আলাপকালে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন জানান, এখানে কোনো রাস্তা নয়। আমার বাড়ির পরিবেশ রক্ষা করতে পানি নিস্কাসনের জন্য একটি ড্রেন নির্মাণ করেছি। আর ওই ড্রেনের মাটি দিয়ে বন্যা থেকে রক্ষা পেতে সেখানে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ওই বাঁধে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বার হাজী ফেরদৌস মিয়া বলেন, এখানে তিনি মাটির কাটার জন্য ১লাখ ৮০হাজার টাকার একটি বরাদ্দ করেছিলেন সঠিক। কিন্তু দুটি পক্ষের বিরোধ থাকার করণে সেই বরাদ্দটি তিনি ফেরত দিয়েছেন বলে জানান।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।